সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি খবর একাধিক অনলাইন পোর্টালের লিংক শেয়ারের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে; যেখানে বলা হচ্ছে, একজন পঙ্গু মায়ের খোঁজ নিচ্ছেনা তার ছেলে। দেখুন এমন কিছু পোস্টের লিংক এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ১৫ জুন Reshmi Gupta নামের একটি ফেসবুক পেজে অনলাইন পোর্টালের একটি লিংক শেয়ার করে বলা হয়, 'নিজে খেয়ে না খেয়ে মানুষ করা ছেলেটি এখন আর পঙ্গু মায়ের খোঁজখবর নেয় না!'। হুবহু একই শিরোনামে প্রকাশিত অনলাইন পোর্টালের ওই খবরটিতে বলা হয়, ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার পুটিয়াখালী গ্রামের বিধবা বৃদ্ধা শাহাবানুকে দেখার কেউ নেই। হামাগুড়ি দিয়ে চলেন তিনি। একমাত্র ছেলে শাহজাহান তাকে ফেলে চলে গেছে। খবরটির ডেটলাইনে প্রকাশের সময় লেখা আছে '4 days ago'। দেখুন সে পোস্ট ও শেয়ার করা লিংকের স্ক্রিনশট-
এখানে দেখুন খবরটির ডেটলাইন ও বিস্তারিত অংশের স্ক্রিনশট--
খবরটির আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে।
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, শাহাবানুর এই খবরটি গতবছরের। ২০২০ সালে মূলধারার একাধিক সংবাদমাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল। তন্মধ্যে ২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর অনলাইন সংবাদমাধ্যম জাগোনিউজে এরকম একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যার শিরোনাম ছিল, 'খেয়ে না খেয়ে মানুষ করা ছেলেটি এখন পঙ্গু মায়ের খোঁজখবর নেয় না'। দেখুন সেই প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট--
এছাড়া, ২০২০ সালে জাগোনিউজে প্রকাশিত খবরের সাথে আলোচ্য খবরটির একাধিক অংশের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।
এদিকে, মূলধারার সংবাদমাধ্যমে অসহায় শাহাবানুর খবর প্রকাশিত হওয়ার পর, গতবছরের ডিসেম্বর মাসে তাঁকে সাহায্য করতে নাভানা গ্রুপের এগিয়ে আসে। এই শিল্পগ্রুপটি স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে শাহানাবানুর দায়িত্ব নেয় বলে ফলোআপ প্রতিবেদনে জানায় জাগোনিউজ। 'হামাগুড়ি দিয়ে চলা শাহাবানু পেলেন মাথা গোঁজার ঠাঁই' শিরোনামে খবরটি প্রকাশিত হয় ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর। দেখুন সেই খবরের স্ক্রিনশট--
অর্থাৎ ২০২০ সালের অসহায় বৃদ্ধা শাহাবানুর এই খবরটি অপ্রাসঙ্গিকভাবে সম্প্রতি নতুন খবর হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।