সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি ও পেজ থেকে একটি চা বাগানের ছবি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ছবিটি বাংলাদেশেরই একটি চা-বাগানের। বাগানটির নাম কোদালা চা বাগান। যা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় অবস্থিত। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ১৫ অক্টোবর 'Shihab Chowdhury' নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়, "আমাদের বাংলাদেশেরই একটি চা-বাগান।বেশ দৃষ্টি নন্দিত। বাগানটির নামঃকোদালা চা বাগান,রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম।" স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ছবিটির ক্যাপশনে করা দাবিটি সঠিক নয়। ছবিটি বাংলাদেশের নয় বরং চীনের একটি চা বাগানের।
রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ছবিটি কাতারের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী 'ADEL ALI BIN ALI' এর অফিশিয়াল টুইটার একাউন্টে ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়, যেখানে ক্যাপশনে ছবিটি চীনের একটি চা বাগানের বলে দাবি করা হয়েছে। পোস্টটি দেখুন--
একই রিভার্স সার্চে চীনা গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্কের (সিজিটিএন) টুইটার হ্যান্ডেলে আলোচ্য চা বাগানের ছবিটি সহ একাধিক ছবি খুঁজে পাওয়া যায়, যা ২০২১ সালের ১৯ এপ্রিল পোস্ট করা হয়েছে। পোস্টটি থেকে জানা যায়, চীনের পূর্বাঞ্চলীয় ঝচিয়াং প্রদেশের চিনহুয়া শহরের একটি চা বাগানের ছবি এগুলো। পোস্টটি দেখুন--
পোস্ট থেকে সূত্র নিয়ে কি-ওয়ার্ড চীনা ভাষায় রূপান্তর করে সার্চ করার পর, 'zjnews.zjol.com.cn' এবং 'zj.cnr.cn' ঠিকানার দুটি চীনাভাষী সংবাদমাধ্যম সহ একাধিক চীনা সংবাদমাধ্যমে একই চা বাগানের একাধিক ছবি খুঁজে পাওয়া গেছে। চীনা ভাষা থেকে স্বয়ংক্রিয় অনুবাদ করলে দেখা যায়, সকল সংবাদমাধ্যমেই ছবিগুলো ঝচিয়াং প্রদেশের চিনহুয়া শহরের একটি চা বাগানের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম দুটির স্ক্রিনশট দেখুন--
সার্চ করার পর ইউটিউবেও একই চা বাগানের চা সংগ্রহের একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 'Oriental Image' নামে ইউটিউব চ্যানেলে ২০২১ সালের ১১ মে আপলোড করা ভিডিওটির বিবরণেও বাগানটির ঠিকানা সিজিটিএন-এর অনুরূপ। ভিডিওটি দেখুন এখানে--
অর্থাৎ ছবিটি বাংলাদেশের নয় বরং চীনের ঝচিয়াং প্রদেশের একটি চা বাগানের।
সুতরাং চীনের একটি চা বাগানের ছবিকে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের কোদালা চা বাগান বলে দাবি করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।