সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন আইডি ও পেজ থেকে একটি নারীকে মারধরের ভিডিও পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, ঘটনাটি বাংলাদেশে জুলাই আন্দোলনের। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২৩ ডিসেম্বর ‘Mohammed Émóñ’ নামক আইডি থেকে ভিডিওটি পোস্ট করে উল্লেখ করা হয়, “হ্যাঁ এটা জুলাইয়ের ঘটনা।” নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য দাবিটি সঠিক নয়। ভিডিওটি বাংলাদেশের জুলাই আন্দোলনের নয় বরং এটি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ব্যারাকপুরের। একদল পুরুষ কর্তৃক এক নারীর মারধরের শিকার হওয়ার এই ভিডিওটি পশ্চিমবঙ্গের বলে একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ভিডিওটির কি ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে “2 Arrested After Gruesome Video Of TMC MLA's 'Aide' Beating Woman In Bengal Goes Viral” শিরোনামে ‘জি নিউজ’ এর অনলাইনে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ২০২৪ সালের ৯ জুলাই প্রকাশিত প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবিটির সঙ্গে ফেসবুকে আলোচ্য দাবিতে ভাইরাল ভিডিওটির মিল খুজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় একদল লোক একটি মেয়েকে লাঞ্ছিত করছে এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং ফুটেজ থেকে চিহ্নিত দুই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। ভিডিওটি প্রায় দুই বছর আগের বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্ক্রিনশট দেখুন--
নিচে জি নিউজের অনলাইনে পাওয়া ছবি (বামে) এবং ফেসবুকে ভাইরাল দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর স্ক্রিনশট (ডানে) মধ্যে মিল দেখুন পাশাপাশি--
একই সার্চে “Video of TMC strongman’s aides assaulting person in Bengal’s Ariadaha club surfaces, 2 held” শিরোনামে ‘ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস’ এর ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ৯ জুলাই প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। যেই প্রতিবেদনটিতে ব্যবহৃত ছবিটির সঙ্গে ভাইরাল ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে ঘটনাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ ভিডিওটি বাংলাদেশের জুলাই আন্দোলনের নয় বরং এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি পুরোনো ঘটনার।
সুতরাং পশ্চিমবঙ্গের একটি পুরোনো ভিডিওকে বাংলাদেশের জুলাই আন্দোলনের বলে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।