সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজ ও আইডি থেকে একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ভিডিওটি ভারতের বাংলাদেশমুখী একটি বাঁধ খুলে দেয়ার দৃশ্য। ভিডিওটিতে সাইরেনের শব্দের মাঝে তিনটি আকাশি রংয়ের সুইস গেট থেকে বাঁধের পানি বের হওয়ার দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ১ জুলাই 'Poygam media - পয়গাম মিডিয়া' নামের ফেসবুক পেজ থেকে থেকে ভিডিও ক্লিপটি শেয়ার করে লেখা হয় "বাংলাদেশের জন্য ভারতের তৈরি নতুন ফাঁদ। পানির বাঁধের আধুনিক সুইচ গেইট।" স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ক্যাপশনে করা দাবিটি সঠিক নয়। ভাইরাল ভিডিওটি ভারতের নয় বরং এটি জাপানের একটি নদীতে বাঁধের দৃশ্য ।
ভাইরাল ভিডিও থেকে কী ফ্রেম কেটে সার্চ করার পর, ইউটিউবে ৬ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়, যা ভাইরাল ভিডিওর একই দৃশ্যের দীর্ঘ ভার্সন। ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর আপলোড করা ইউটিউব ভিডিওতে জাপানি ভাষায় ক্যাপশনে লেখা আছে, "矢作ダム放流開始" ( স্বয়ক্রিয় অনুবাদ: Yahagi dam release started)। ইউটিউব ভিডিওর ২ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড থেকে ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিওতে দেখতে পাওয়া বাঁধের পানি ছাড়ার একই দৃশ্য দেখা যায়। ভিডিওটি দেখুন--
জাপানি ক্যাপশনের সূত্র ধরে সার্চ করার পর ইউটিউবে ইয়াহাগি বাঁধের আরও অনেক ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়, যার সাথে ফেসবুকে ভাইরাল আলোচ্য ভিডিওর মিল রয়েছে। এরকম একটি ভিডিও দেখুন--
এছাড়াও জাপানের টয়োটা সিটি পর্যটনের ওয়েবসাইটে, ইয়াহাগি নদীতে তৈরি বাঁধের আরও ছবি খুঁজে পাওয়া গেছে। ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে এই বাঁধের ফলে কৃত্রিম হ্রদ ওকুয়াহাগি তৈরী হয়েছে। ওয়েবসাইট থেকে নেয়া স্ক্রিনশট এবং বিভ্রান্তিকর দাবির ফেসবুক ভিডিওর স্ক্রিনশটের পাশাপাশি তুলনা দেখলে সাদৃশ্যটি আরও ভালোভাবে বোঝা যায়--
অর্থাৎ ভিডিওটি ভারতের কোনো বাঁধের নয় বরং জাপানের ইয়াহাগি নদীতে তৈরি একটি বাঁধের। এছাড়া স্টক ছবির ওয়েবসাইট অ্যালামিতেও জাপানের এই বাঁধটির একাধিক ছবি রয়েছে।
ভিডিওটি এর আগে বুম লাইভ বাংলা যাচাই করেছে।
সুতরাং জাপানের একটি বাঁধের ভিডিওকে ভারতের দাবি করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে, যা বিভ্রান্তিকর।