সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি পাকা রাস্তা পানির চাপে ধসে যাওয়ার ভিডিও পোস্ট করে এটি বাংলাদেশের বলে দাবি করা হচ্ছে। এরকম একটি পোস্ট দেখুন এখানে।
গত ২৯ জুন "রাণীনগর জিরো পয়েন্ট যুবদল" নামের একটি আইডি থেকে একটি রিলস ভিডিও পোস্ট করা হয়। কয়েকটি ছোট ছোট ফুটেজ যুক্ত করে তৈরি ওই ভিডিওটির উপরে লিখা রয়েছে "শেখ হাসিনার উন্নয়ন"। স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থ্যাৎ পোস্টে যুক্ত ভিডিওকে বাংলাদেশের বলে দাবি করা হচ্ছে।
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। আলোচ্য ভিডিওতে যুক্ত প্রথম ভিডিও ফুটেজটি ভারতের কেরালা রাজ্যের মালাপ্পুরামের একটি রাস্তা আকস্মিক বন্যায় ধসে পড়ার সময় ধারণ করা হয়।
আলোচ্য ভিডিওটি থেকে একটি কি-ফ্রেম কেটে নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি "Remember Kerala road that crumbled in the rains? Now the road has been restored and is serviceable" শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদনে আলোচ্য ছবিটির একটি ফ্রেম খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভারতের কেরালা রাজ্যের মালাপ্পুরামের ওয়ান্দুর নামক স্থানে আকস্মিক বন্যায় ওই রাস্তাটি ধসে পড়ে। স্ক্রিনশট দেখুন--
আরো সার্চ করে ভারতীয় গণমাধ্যম ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের ওয়েবসাইটে ২০১৮ সালের ৯ আগস্ট "LIVE: Kerala rains – Alert! Another 24-hour heavy rainfall expected; what Met dept said about situation improvement" শিরোনামে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনেও আলোচ্য ভিডিওটির একটি ফ্রেম খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে ওই বছর কেরালা রাজ্যের বন্যার সর্বশেষ খবর প্রচার করা হয়। স্ক্রিনশট দেখুন--
এছাড়া, কি-ওয়ার্ড সার্চ করে স্কুপনেস্ট নামে একটি ওয়েবসাইটেও আলোচ্য ভিডিওটির একটি দীর্ঘ ভার্সন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই ভিডিওটিতে আলোচ্য পোস্টের দৃশ্যপটেই পানির তীব্র চাপে রাস্তাটি ভেঙ্গে পড়তে দেখা যায়।
এবারে, আলোচ্য ভিডিওর একটি কি-ফ্রেম (বামে) এবং স্কুপনেস্টে পাওয়া ভিডিওটির একটি কি-ফ্রেমের (ডানে) তুলনা দেখুন পাশাপাশি--
অর্থ্যাৎ ভারতের কেরালা রাজ্যে আকস্মিক বন্যায় রাস্তা ধসে পড়ার ভিডিওকে বাংলাদেশের ঘটনা বলে প্রচার করা হচ্ছে। তবে, আলোচ্য পোস্টের প্রথম ফুটেজটি ব্যতীত অন্যান্য ফুটেজগুলো পৃথকভাবে যাচাই করে দেখেনি বুম বাংলাদেশ।
সুতরাং বন্যায় ভারতের রাস্তা ভেঙ্গে পড়ার ভিডিওকে বাংলাদেশের বলে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।