সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি প্রাণীর জিহ্বার ছবি শেয়ার করে বলা হচ্ছে, ছবিটি বাঘের জিহ্বার। এরকম কয়েকটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ৯ ডিসেম্বর 'মিসেস আল-আমিন' নামে একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে একটি ছবি পোস্ট করে বলা হয়, "বাঘের জিহ্বা, এতটাই শক্তিশালী যে, একটি প্রাণীর হাড় থেকে মাংস আলাদা করতে পারে।" পোস্টটিতে একটি প্রাণীর জিহ্বার ছবি দেখতে পাওয়া যায়। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, দাবিটি সঠিক নয়। আলোচ্য ছবিটি বাঘের জিহ্বার নয় বরং বিড়ালের জিহ্বার।
ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে অনলাইন ইমেজ শেয়ারিং ওয়েবসাইট imgur-এ ২০১৯ সালের ২ মে 'A cat's tongue under a microscope looks like it's made out of other smaller tongues.' শিরোনামে করা একটি পোস্টে আলোচ্য ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টটিতে এটি একটি বিড়ালের জিহ্বা বলে উল্লেখ করা হয়। স্ক্রিনশট দেখুন--
একইভাবে আরো সার্চ করে অনলাইন ফটোশেয়ারিং ওয়েবসাইট ফ্লিকারে স্পেন থেকে পরিচালিত 'Mayte Vidri' নামের একটি একাউন্ট থেকে 'CAT'S TONGUE-1 / Cat's tongue - papillae' শিরোনামে পোস্ট করা আলোচ্য ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। ছবিটির ক্যাপশনে বলা হয়, "বিড়ালের জিহ্বায় পাপিলের এই ছবিটি দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন, বিড়াল আপনার গায়ে জিহ্বা দিয়ে স্পর্শ করলে কেনো খসখসে লাগে।" ছবিটির ডেস্ক্রিপশনে আরো উল্লেখ করা হয়, Canon Digital IXUS 750 দিয়ে ২০০৬ সালের ৬ ডিসেম্বর আলোচ্য ছবিটি ধারণ করা হয় এবং ১৫ ডিসেম্বর ফ্লিকারে আপলোড করা হয়। স্ক্রিনশট দেখুন--
উপরের পোস্টের ডেস্ক্রিপশনে থাকা সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ওই একই একাউন্ট থেকে 'CAT'S TONGUE -2 lengua de gato - papilas' শিরোনামে পোস্ট করা একই বিড়ালের ভিন্ন দিক থেকে ধারণ করা আরেকটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। ওই ছবিটির ব্যাপারে বলা হয়, বিড়ালের জিহ্বায় এই পাপিলের কারণে বিড়াল চেটে দিলে আঁচড় লাগে। ছবিটি ২০০৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ধারণ করা হয় এবং ২০ ডিসেম্বর আপলোড করা হয়। স্ক্রিনশট দেখুন--
প্রসঙ্গত Mayte Vidri নামের ওই চ্যানেলটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, স্পেন থেকে পরিচালিত ফ্লিকার একাউন্টটিতে ২০০৬ সালের অক্টোবর মাস থেকে ছবি আপলোড করা হয়। তার আপলোড করা Animals - Animales এলবামে আলোচ্য ছবিটি প্রথম আপলোড করা হয়।
অর্থাৎ আলোচ্য ছবিটি বাঘের জিহ্বার ছবি নয়।
অর্থাৎ বিড়ালের জিহ্বার ছবিকে বাঘের জিহ্বার ছবি বলে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।