সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজ ও গ্রুপে দৈনিক কালবেলার লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হচ্ছে। যেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পির নাম উল্লেখ্য করে বলা হয়েছে, তিনি ‘সিন্ডএফ’ (স্পষ্ট নয় শব্দটি দিয়ে কী বোঝানো হয়েছে) থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কোটি টাকা আদায় করেছেন। এছাড়াও তিনি মামলা বাণিজ্যের সাথেও জড়িত। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে এবং এখানে।
গত ২১ ডিসেম্বর 'মনিরা খাতুন আনিশা' নামক একটি আইডি থেকে ফটোকার্ডটি পোস্ট করে বলা হয়, "সমন্বয়কদের বর্তমান হিস্টোরি লিংক না পাইলে কথা কইয়ো না কেউ।" নিচে স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, দৈনিক কালবেলা এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি। এমনকি ভাইরাল ফটোকার্ড সম্পর্কিত খবর অন্য সংবাদমাধ্যমেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে কালবেলার সাথে যোগাযোগ করা হলে, গণমাধ্যমটি ফটোকার্ডটিকে ভুয়া বলে চিহ্নিত করেছে।
আলোচ্য ভাইরাল ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, সেখানে লেখা রয়েছে ‘সিন্ডএফ’ থেকে চাঁদা নেন ৫০ লাখ। ‘সিন্ডএফ’ নামে কোনো শব্দ নেই প্রচলিত বাংলা কিংবা ইংরেজি অভিধানে। এটি একটি ভুল শব্দ। গণমাধ্যমের ফটোকার্ডে এমন ভুল শব্দের প্রয়োগ হওয়াটা স্বাভাবিক নয়।
পর্যবেক্ষণে আরো দেখা যায়, এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ লেখা রয়েছে। কি-ওয়ার্ড সার্চ করে দৈনিক কালবেলার ওয়েবসাইট এবং তাদের ফেসবুক পেজে উক্ত তারিখ এবং সাম্প্রতিক তারিখের সংবাদ সন্ধান করে এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ফটোকার্ডে প্রকাশিত তথ্য সম্পর্কিত কোনো প্রতিবেদন ভিন্ন কোনো গণমাধ্যমেও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আলোচ্য ফটোকার্ডের ব্যাপারে কালবেলার সাথে যোগাযোগ করা হলে পত্রিকাটির ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের এডিটর পলাশ মাহমুদ বুম বাংলাদেশকে বলেন, আলোচ্য ফটোকার্ডটি ভুয়া। কালবেলার লোগো ব্যবহার করে ও কার্ড নকল করে আলোচ্য কার্ডটি তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অর্থাৎ দৈনিক কালবেলা পত্রিকা এমন কোনো ফটোকার্ড তৈরি বা খবর প্রকাশ করেনি।
সুতরাং কালবেলার লোগো যুক্ত করে ভুয়া তথ্য দিয়ে বানানো ফটোকার্ড প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।