সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজ থেকে একটি বাঁধের ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ভারতের টিপাইমুখ বাঁধের ১১ টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ১৮ জুন 'Lakshmipur24.com' নামের ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়, "ভারতের তিস্তা টিপাইমুখী ১১ গেইট খুলে দিয়েছে ভারত।" পোস্টের স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ক্যাপশনে করা দাবিটি সঠিক নয়। ভিডিওটি ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে অবস্থিত একটি বাঁধের।
ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও থেকে কী-ফ্রেম কেটে সার্চ করার পর, মূল ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া না গেলেও একই বাঁধের একাধিক ভিডিও খুঁজে পাওয়া গেছে। তন্মধ্যে, 'Karnataka Travel Diaries' নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৯ সালের ১১ আগস্ট 'Hemavthi dam Gorur' শিরোনামে বাঁধের একটি ভিডিও পোস্ট করতে দেখা যায়। ইউটিউব ভিডিওতে দেখতে পাওয়া জল বাঁধের অবকাঠামোর সাথে ফেসবুক সম্প্রতি প্রচারিত ভিডিওর বাঁধের সাদৃশ্য পাওয়া যায়। ভিডিওটি দেখুন--
ইউটিউব ভিডিও থেকে নেয়া স্ক্রিনশট এবং বিভ্রান্তিকর দাবির ফেসবুক ভিডিওর স্ক্রিনশটের পাশাপাশি তুলনা দেখলে ভিডিও দুটির সাদৃশ্য আরও ভালো করে বোঝা যায়--
বাঁধের একটি ছবি কর্ণাটকের হাসান জেলার সরকারী ওয়েবসাইটে খুঁজে পাওয়া যায়। ছবিটিতে দেখতে পাওয়া বাঁধের অবকাঠামো দেখে নিশ্চিত হওয়া উপরের ভিডিওটি হেমাবতী নদীতে অবস্থিত গোরুর বাঁধের দৃশ্যই। ওয়েবসাইটের বিবরণে বলা হয়, কর্ণাটকের হাসান জেলার গোরুর এলাকায় হেমাবতী নদীর উপরে বাঁধটি ১৯৭৯ সালে তৈরী করা হয়। স্ক্রিনশট দেখুন--
আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য বুম বাংলাদেশ, গুগল ম্যাপে বাঁধটি খুঁজে দেখার চেষ্টা করে একাধিক ফল পেয়েছে। গুগল স্ট্রিট ভিউতে দেখতে পাওয়া বাঁধটির ছবি দেখুন--
বাঁধটির আরেকটি ভিডিও দেখুন--
অর্থাৎ ভিডিওটি টিপাইমুখ বাঁধের নয় বরং ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের হাসান জেলায় হেমাবতী নদীর উপর অবস্থিত গোরুর বাঁধের।
সুতরাং ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের একটি বাঁধের ভিডিওকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের নিকটবর্তী ভারতের বরাক নদীর উপরে অবস্থিত টিপাইমুখ বাঁধের গেট খুলে দেয়ার দৃশ্য দাবি করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে, যা বিভ্রান্তিকর।