সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি, পেজ ও গ্রুপ থেকে বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম যমুনা টেলিভিশনের লোগো যুক্ত একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হচ্ছে। যেখানে দাবি করা হয়, থাইল্যান্ড পালাতে গিয়ে আটক হয়েছেন সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ. আরাফাত। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ৭ আগস্ট 'Abdullah Al Riyad' নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ফটোকার্ডটি পোস্ট করে লেখা হয়, "জীবনে এর মতো এতো কনফিডেন্টলি মিথ্যা বলতে কাউকে দেখিনি! আস্ত হারামজাদা!" নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, দাবিটি সঠিক নয়। বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম যমুনা টেলিভিশন নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করে আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের বানানো নয় বলে জানিয়েছে।
কি-ওয়ার্ড ধরে সার্চ করে আলোচ্য দাবির প্রেক্ষিতে কোনো প্রতিবেদন যমুনা টেলিভিশনের ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যমেও এ ধরণের কোনো প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের নয় বলে যমুনা টেলিভিশনের এর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ৮ আগস্ট একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। ওই পোস্টে বলা হয়, এই ফটোকার্ডটি যমুুনা টেলিভিশনের নয়। গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না। পোস্টটি দেখুন--
অর্থাৎ যমুনা টেলিভিশনের এর লোগো ব্যবহার করে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ. আরাফাত থাইল্যান্ড পালাতে গিয়ে আটক দাবিতে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার করা হচ্ছে। যমুনা টেলিভিশন এমন খবর কিংবা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।
সুতরাং যমুনা টেলিভিশনের লোগো ব্যবহার করে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরাফাত থাইল্যান্ড পালাতে গিয়ে আটক হয়েছেন মর্মে ভিত্তিহীন তথ্য সহ ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।