ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি ও পেজে থেকে সম্প্রতি ঢাকার রাস্তা থেকে ফি টনেসবিহীন বাস সরিয়ে চায়না সাংহাই টেকনোলজির আধুনিক সুবিধা সম্বলিত চার হাজার ইলেকট্রিক বাস সরবরাহের প্রস্তাব দেয়ার খবর প্রচার করা হচ্ছে। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর 'Iftekhar Mahmudi' নামের আইডি থেকে একটি পোস্টে বলা হয়, "ফিটনেসবিহীন বাস সরিয়ে ঢাকায় আধুনিক সুবিধা সম্বলিত চার হাজার ইলেকট্রিক বাস সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে চায়না সাংহাই টেকনোলজি"।
পাশাপাশি 'Uddoktar khoje/ উদ্যোক্তার খোঁজে' নামের একটি পেজ থেকেও একটি অনলাইন পোর্টালের খবরের লিংক শেয়ার করে বলা হয় "ফিটনেসবিহীন বাস সরিয়ে ঢাকায় আধুনিক সুবিধা সংবলিত চার হাজার ইলেকট্রিক বাস সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে চায়না সাংহাই..."। খবরটির শিরোনাম "ঢাকায় ৪ হাজার চীনা ইলেকট্রিক বাস নামবে!"। উক্ত পেজে খবরটি শেয়ার করার পর এর উৎস কিংবা সময় কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। যদিও ফেসবুকে শেয়ার করা ইন্সট্যান্ট আর্টিকেলে খবরটি প্রকাশের তারিখ হিসাবে, "২৯ মে ,২০১৮" উল্লেখ করা হয়েছে। তারপরও নতুন করে খবরটি শেয়ার করায় ফেসবুক ব্যবহারকারীদের খবরটি সাম্প্রতিক মনে করে মন্তব্য করতে দেখা গেছে।
'Uddoktar khoje/ উদ্যোক্তার খোঁজে' পেজে উক্ত পোস্টের নিচে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মন্তব্য দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, খবরটি সাম্প্রতিক নয়।
বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে দেখা গেছে, অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত খবরটি কপি করা। মূলত ২০১৭ সালের ২৭ এপ্রিল অনলাইন গণমাধ্যম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-এ "ঢাকায় নামবে ৪ হাজার চীনা ইলেকট্রিক বাস" শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। খবরটিতে বলা হয়- "বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর মতিঝিলে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) ভবনের সভাকক্ষে এফবিসিসিআই ও চীনের অল-চায়না ফেডারেশন অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমার্সের (এসিএফআইসি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ব্যবসায়িক বৈঠকে এ প্রস্তাব উঠে আসে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা মি. হুয়া লি বলেন, আমরা পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি বাস দেবো। এতে ঢাকার সড়কে সুবিধা হলে চার হাজার বাস প্যাকেজ আকারে বাংলাদেশকে দেওয়া হবে। এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, চায়না প্রতিষ্ঠানটি যে বাসের কথা বলছে সেটি আধুনিক সুবিধা সংযুক্ত। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে বাস সার্ভিস চালুর আগ্রহ প্রকাশ করেছে। "
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনটিকেই সামান্য পরিবর্তনসহ কপি করে আলোচ্য অনলাইন পোর্টাল এবং ফেসবুক পোস্টগুলোতে প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও এই প্রকল্পের পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে অনুসন্ধান করেনি বুম বাংলাদেশ। অনলাইন পোর্টালের খবর ও মূল খবরের পাশাপাশি স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ চার বছর আগের একটি পুরোনো সংবাদমূল্যহীন খবরকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে সম্প্রতি নতুন করে প্রকাশ করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।