চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সাবেক শিক্ষার্থী আক্কাস উদ্দীন জিসানের গুগলে চাকরি পাওয়া সংক্রান্ত একটি খবর সম্প্রতি বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালের লিংক সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি ও পেজ থেকে পোস্ট করা হয়েছে। খবরের সাথে একটি ছবিও জুড়ে দেয়া হয়েছে। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
'Worthy Talks' নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত ৩ আগস্ট অখ্যাত একটি অনলাইন পোর্টালের লিংক পোস্ট করে বলা হয়, 'সিজিপিএ মাত্র ২.৭৬ নিয়েও আকর্ষনীয় বেতনে গুগলে চাকরি পেলেন বাংলাদেশী জিসান!'।
হুবহু একই শিরোনামে প্রকাশিত অনলাইন পোর্টালের লিংকে গিয়ে দেখা যায় প্রতিবেদনটির ডেটলাইনে প্রকাশের তারিখ '২ আগস্ট,২০২১' উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ ফেসবুক ও অনলাইন পোর্টালে প্রকাশের ডেটলাইন দেখে মনে হচ্ছে ঘটনাটি সাম্প্রতিক।
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ঘটনাটি সাম্প্রতিক নয়।
কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে ২০২০ সালে গণমাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হতে দেখা গেছে। তন্মধ্যে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার অনলাইন বাংলা ভার্সনে গত বছরের ২৩ জুন "গুগল-মাইক্রোসফটে চাকরি পেলেন দুই তরুণ" শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০০৭ সালের ব্যাচের শিক্ষার্থী আক্কাস উদ্দীন জিসান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার পদে নিয়োগ পেয়েছেন।
খবরটিতে একই বিভাগের ২০০৯ সালের ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী তানভীর এইচ উদয়ের বহুজাতিক সফটওয়্যার কোম্পানি মাইক্রোসফটে নিয়োগের কথাও উল্লেখ করা হয়।
পাশাপাশি, আক্কাস উদ্দিন জিসানের সামাজিক মাধ্যম একাউন্টে যুক্ত করা ছবির সাথে মিলিয়ে অনলাইন পোর্টালে ব্যবহৃত ছবিটি তার বলে নিশ্চিত হয়েছে বুম বাংলাদেশ।
বিস্তারিত সার্চ করে দেখা গেছে আলোচ্য অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত খবরটি বাংলাদেশ টাইমস পত্রিকার অনলাইন পোর্টালে ২০২০ সালের ১৩ জুলাই "সিজিপিএ ২.৭৬ নিয়েও যেভাবে গুগলের স্বপ্নজয় চুয়েট ছাত্রের" শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে হুবহু কপি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মূলধারার গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে কোথাও জিসানের সিজিপিএ সংক্রান্ত কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং বুম বাংলাদেশ স্বতন্ত্রভাবে এ বিষয়টি যাচাই করেও দেখেনি।
সুতরাং, বাংলাদেশি তরুণ আক্কাস উদ্দিন জিসানের গুগলে নিয়োগের এক বছর পুরোনো খবরকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে নতুন করে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।