সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন পেজ এবং গ্রুপে পোস্ট করে বলা হচ্ছে, খেলার কারণে ক্লাস এটেনডেন্স কম থাকায় বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার আশিকুর রহমান শিবলীকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তথা তার ডিপার্টমেন্ট পরীক্ষা দিতে দেয়নি। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ১৮ ডিসেম্বর 'Neoteric Talkies' নামের ফেসবুক পেজ থেকে এমন দাবিতে দীর্ঘ ক্যাপশনে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট করা হয়। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলোয়াড় আশিকুর রহমান শিবলী নিজের সিদ্ধান্তে পরীক্ষা দেননি বলে তিনি নিজেই দৈনিক 'আজকের পত্রিকা'-কে জানিয়েছেন।
সার্চ করে আলোচ্য দাবির স্বপক্ষে গণমাধ্যমে কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। এছাড়াও যে ফেসবুক পোস্টের উপর ভিত্তি করে (স্ক্রিনশট) আলোচ্য দাবিটি প্রচার করা হয়েছে সেই একাউন্টে পোস্টটি আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। সূত্র হিসেবে ব্যবহৃত ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
কি-ওয়ার্ড সার্চ এর মাধ্যমে দৈনিক সংবাদপত্র 'আজকের পত্রিকা' এর অনলাইন সংস্করণে গত ১৯ ডিসেম্বর "জাবিতে শিবলির পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার বিষয়টি ‘গুজব" শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, "আজ শিবলি সাংবাদিকদের বলেন, ‘না, না। এটা আমারই সিদ্ধান্ত ছিল যে এ বছর পরীক্ষা দেব না। বিভাগের সভাপতি ও পরীক্ষা কমিটির সভাপতি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, এ বছর পরীক্ষা দিতে চাই কি না। আমি নিজে থেকেই বলেছিলাম আগামী বছর পরীক্ষা দেব।" প্রতিবেদনটির স্ক্রিনশট দেখুন--
এদিকে, খেলার কারণে ক্লাস এটেনডেন্স কম থাকায় বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার আশিকুর রহমান শিবলীকে পরীক্ষা দিতে না দেয়ার আলোচ্য দাবিটি সম্পর্কে আরো জানতে তার বিভাগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে বুম বাংলাদেশ। উক্ত বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. তাজউদ্দিন শিকদার 'তথ্যটি সত্য নয়' বলে বুম বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেন।
অর্থাৎ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দিতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আশিকুর রহমান শিবলীর নিজেরই ছিল।
সুতরাং ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে "ক্লাস এটেনডেন্স কম থাকায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশিকুর রহমান শিবলীকে পরীক্ষা দিতে দেয়নি" বলে যে দাবি প্রচার করা হচ্ছে; তা বিভ্রান্তিকর।