সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি ও পেজ থেকে সৌদি নারী ফুটবল দলের ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর সৌদি নারী ফুটবল দল প্রথম আন্তর্জাতিক জয় লাভ করেছে । এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর "জহিরুল স্পোর্টিং ক্লাব" নামের ফেসবুক আইডি থেকে ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়, "আজকে প্রথম আন্তর্জাতিক জয় পেয়ে সৌদি নারী ফুটবল দলের- #বিজয়োল্লাস।" স্ক্রিনশট দেখুন--
এছাড়া একই দিনে "Tonoy Billah" নামের আরেকটি ফেসবুক আইডি থেকে ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়,"আজকে প্রথম আন্তর্জাতিক জয় পেয়ে সৌদি নারী ফুটবল দলের #বিজয়োল্লাস।। আমাদের দেশের তথাকথিত সাচ্চা ঈমানওয়ালা যারা দাবি করছে, যারা গতকাল থেকে ফেসবুকে আমাদের নারী ফুটবল দলের বিজয়ে অভিনন্দন না জানিয়ে তাদের পোশাক নিয়ে সমালোচনা করে যাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতাকে সামনে এনে যারা ইনিয়ে বিনিয়ে কাউন্টার দিচ্ছে #সাফ_চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের; নীচের ছবিটা তথাকথিত সাচ্চা ঈমানওয়ালাদের জন্য।। আশাকরি তারা এখন আমাদের মেয়েদের বিজয়কে এবং নারীদের ফুটবল খেলাকে হালল মনে করবে।" স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ দাবি করা হচ্ছে, সৌদি নারী ফুটবল দলের প্রথম আন্তর্জাতিক জয়ের খবরটি গত ২২ সেপ্টেম্বরের।
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, সৌদি নারী ফুটবল দলের প্রথম আন্তর্জাতিক জয়ের খবরটি সাম্প্রতিক নয়। মূলত গত ফেব্রুয়ারি মাসের একটি খবরকে সাম্প্রতিক দাবি করে প্রচার করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে।
কি-ওয়ার্ড ধরে সার্চ করার পর, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম Al Arabiya-তে গত ২১ ফেব্রুয়ারি "Saudi Arabia's women's football team wins its first-ever international match" শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তৎকালে মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে পূর্ব আফ্রিকার দেশ সিসিলসকে ২-০ গোলে হারায় সৌদি নারী ফুটবল দল। ম্যাচটিতে সৌদির হয়ে গোল করেন আল বানদারি মুবারাক ও মরিয়ম আল তামিমি। স্ক্রিনশট দেখুন--
একই তারিখে প্রখ্যাত মার্কিন মাসিক ফ্যাশন এবং লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন 'vogue'-এর আরাবিয়া সংস্করণেও "Saudi Women's National Football Team Brings Home its First International Victory" শিরোনামে খবরটি প্রকাশিত হতে দেখা যায়। স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ সৌদি নারী ফুটবল দলের প্রথম আন্তর্জাতিক জয়ের খবরটি সাম্প্রতিক নয় বরং ৭ মাস পুরোনো।
সুতরাং ৭ মাস পুরোনো একটি খবরটি অপ্রাসঙ্গিকভাবে সাম্প্রতিক দাবি করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে, যা বিভ্রান্তিকর।