সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি ও পেজ থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলা হচ্ছে, হিরো আলম ওরফে আশরাফুল আলমকে দেখতে হাসপাতালে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২২ জুলাই "বিনোদন নিউজ" নামে একটি ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে লেখা হয়, "হাসপাতালে হিরো আলমকে দেখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা"। ভিডিওটির শুরুতেই যুক্ত একটি ছবিতে হিরো আলমকে হাসপাতালের বিছানায় শায়িত এবং পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখা যায়। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় আহতদেরকে দেখতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইসময়ে ধারণ করা একটি ছবিকে এডিট করে রানা প্লাজা ধসে আহত এক ব্যক্তির স্থলে হিরো আলমের ছবি বসিয়ে আলোচ্য ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।
আলোচ্য ভিডিওটি থেকে ছবিটি কেটে নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে অনলাইন পোর্টাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের ওয়েবসাইটে ২০১৩ সালের ২৮ এপ্রিল "হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী" শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে আলোচ্য ছবিটির অরিজিনাল ছবিটি পাওয়া যায়। স্ক্রিনশট দেখুন--
এবারে, আলোচ্য ছবিটি (বামে) এবং বিডিনিউজের প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত ছবিটি (ডানে) দেখুন পাশাপাশি--
এছাড়া আরো সার্চ করে দেখা গেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমের ভিডিও প্রতিবেদন থেকে একাধিক ভিডিও ক্লিপ ও স্থিরচিত্র কেটে নিয়ে আলোচ্য ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। তন্মধ্যে কালবেলা নিউজের ইউটিউব চ্যানেলে পাওয়া যাওয়া ভিডিওটি থেকে বেশ কিছু ভিডিও ক্লিপ কেটে নিয়ে আলোচ্য ভিডিওটিতে যুক্ত করা হয়েছে। কালবেলার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও প্রতিবেদনটি দেখুন--
অর্থ্যাৎ ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রানা প্লাজা ধসে আহতদেরকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার ছবিকে এডিট করে হিরো আলমের ছবি বসিয়ে আলোচ্য ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে নৌকা মার্কার ব্যাজধারীদের হামলায় আহত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অর্থ্যাৎ এডিটেড ছবি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হিরো আলমকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার ভুয়া দাবি প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।