সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি ও পেজ থেকে একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, দক্ষিণ সুদান বংশদ্ভূত ন্যাকেম গেটওয়েচ নামের এক মডেল বিশ্বের সবচেয়ে 'কালো সুন্দরী'র খেতাব অর্জন করে, গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তুলেছেন। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ২৩ অক্টোবর "Ro Za" নামের একটি আইডি থেকে ছবি পোস্ট করা হয় যাতে লেখা ,- "এটা কালো পাথর বা গ্রানাইটের শিল্পকর্ম নয়। তিনি সুদানী মডেল নায়াকিম গাতওয়েচ। বিরল কালো সৌন্দর্য । তিনি পৃথিবীতে দেখা সবচেয়ে অন্ধকার ত্বকের জন্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে প্রবেশ করেছেন। তিনি "অন্ধকারের রাণী" নামেও পরিচিত"। স্ক্রিনশট দেখুন-
ফ্যাক্ট চেক
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, দাবিটি সঠিক নয়। গিনেস বুক অব রেকর্ডসের পক্ষ থেকে গায়ের রংয়ের জন্য তাদের কোন প্রতিযোগিতার বিভাগ না থাকার কথা জানানো হয়েছে।
কিওয়ার্ড ধরে সার্চ করার পর দেখা যায়, ন্যাকেম গেটওয়েচের বিষয়ে ভাইরাল দাবিটি সম্পর্কে জানানার জন্য কেনিয়ার গণমাধ্যম দ্য স্ট্যান্ডার্ড গিনেস বুক অব রেকর্ডসকে মেইল করলে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে সংস্থাটির এর মুখপাত্র জেসিকা স্পিলানে মেইলের উত্তরে 'গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস গায়ের রংয়ের সংক্রান্ত প্রতিযোগিতার জন্য কোনও বিভাগ রাখে না বলে জানান'। স্ক্রিনশট দেখুন--
পরবর্তিতে, ২০২০ সালের ২৪ এপ্রিল গিনেস বুক অব রেকর্ডস থেকেও বিষয়টি টুইট করে দাবিটি ভিত্তিহীন বলে জানানো হয়। উক্ত পোস্টের নিচে এক টুইটার ব্যবহারকারী ন্যাকেম গেটওয়েচের সঙ্গে হওয়া টুইটার কথা হবার স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। যেখানে ন্যাকেম গেটওয়েচও নিজেও জানান, গিনেস বুক অব রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ তাঁর বা তাঁর টিমের সঙ্গে এরকম কোনও বিষয়ে যোগাযোগ করেনি।
প্রসঙ্গত, ২৭ বছর বয়সী ন্যাকেম গেটওয়েচ একজন মডেল। তার বাবা মায়ের আদি বাস দক্ষিণ সুদানের মাইয়ুটে। পরবর্তিতে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দক্ষিণ সুদান ছেড়ে কেনিয়ার উদ্বাস্তু শিবির হয়ে পরিবারের সঙ্গে শরনার্থী হয়ে আমেরিকায় চলে আসেন তিনি।
অর্থাৎ সুদান বংশদ্ভূত ন্যাকেম গেটওয়েচের গিনেস বুকে বিশ্বের সবচেয়ে 'কালো সুন্দরী'র খেতাব অর্জনের খবরটি ভুয়া।