সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি, পেজ ও গ্রুপে পোস্ট করে দৈনিক পত্রিকা কালবেলার বরাতে নোবেল জয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হতে যাচ্ছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
২১ ঘন্টা আগে '🌾Bangladesh Nationalist Party (BNP)🌾-🌾বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (BNP)🌾' নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে 'Shahadat Hussain Razib' নামে একটি আইডি থেকে পোস্ট করে লেখা হয়, "ড.ইউনুস ই হতে যাচ্ছেন তত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান, আলহামদুলিল্লাহ ✅তথ্যসূত্র : কালবেলা✅"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ পোস্টটিতে দাবি করা হচ্ছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান হতে যাচ্ছেন বলে কালবেলা পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেছে।
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, দাবিটি সঠিক নয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূস তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান হতে যাচ্ছেন এমন কোনো সংবাদ কালবেলায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া, এমন কোনো সংবাদ কালবেলায় প্রকাশিত হয়নি বলে বুম বাংলাদেশকে পত্রিকাটির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
ড. ইউনূস তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হচ্ছেন কিনা জানতে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে কালবেলা পত্রিকাসহ দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে এরকম কোন সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। কি-ওয়ার্ড সার্চ করে কালবেলার ওয়েবসাইটে গত ২০ আগস্ট ড. ইউনূসকে নিয়ে সর্বশেষ প্রকাশিত "ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা চলবে" শিরোনামে একটি সংবাদ প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, "নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির চার পরিচালকের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলার কার্যক্রম চলতে কোনো বাধা নেই।" এছাড়া, ড. ইউনূসের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হওয়ার কোনো সংবাদ পত্রিকাটির ওয়েবসাইটে খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্ক্রিনশট দেখুন--
এদিকে, কালবেলার বরাতে আলোচ্য দাবিটি ছড়িয়ে পড়লে এ ব্যাপারে জানতে কালবেলার সাথে যোগাযোগ করে বুম বাংলাদেশ। কালবেলা পত্রিকার অনলাইন ভার্সনের সম্পাদক পলাশ মাহবুব জানান, "দাবিটি ভুয়া। কালবেলায় এমন কোনো নিউজ প্রকাশিত হয়নি।"
অর্থ্যাৎ ড. মুহম্মদ ইউনূস তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হতে যাচ্ছেন কালবেলা পত্রিকা এমন কোনো খবর প্রকাশ করেনি।
সুতরাং কালবেলার বরাতে ড. মুহম্মদ ইউনূসের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হতে যাওয়ার ভুয়া দাবি প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।