AmaderShomoy.Com নামক একটি পত্রিকার ওয়েবসাইটে গত ২ জুলাই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় যার শিরোনাম, "রবি হোসাইন : যেভাবে এএসপি পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত হলাম"
প্রতিবেদনটির গুগল ক্যাশে লিংক দেখুন এখানে। ফেসবুকে প্রতিবেদনটি এখানে আছে।
প্রতিবেদনে শেষ দুটি প্যারায় লেখা রয়েছে--
"গত ৫ বছর ধরে আমি কি করছি, কিভাবে ছিলাম সেই খোঁজ নেওয়ার কোন আগ্রহ বা সময় তাদের হয়ইনি কিন্তু যেইনা ক্ষমতার কাছে গেলাম পোস্ট করেছি শুভেচ্ছা নিয়ে হাজির। তারা আমার প্রোফাইলটা ঘেঁটে দেখারও সময় পেলেন না।জানি আমাকে পুলিশ হতে দেখে সেই মানুষগুলো এখন পোস্টে নিয়মিত রিএকশন দেবেন। ১৪ সালে ইন্টার দিয়েও জটের কারণে এখনো অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়ে এ ধরনের মানুষদের বোকা বানিয়ে নিজেকে সত্যিই বিসিএস ক্যাডার মনে হচ্ছে।
কস্ট করে পড়লেন কিন্তু একটা তেলতেলে কমেন্ট করতে পারলেন না। অনেক কস্ট তাই না? জানি এ ধরনের অন্ধ শুভেচ্ছা বিলানোদের অনেকেই এই পোস্ট পুরোটা না পড়ে কমেন্টে অভিনন্দন জানিয়ে যাবে। এরা কারা ভাই? এরা কি খেয়ে বড় হয়েছে? বইয়ের পাতা? টাকা? উনারা মরলেই পত্রিকায় ছাপা হয়, মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুইটা বাচ্চা ও অসংখ্যা গুণগ্রাহী রেখে যান। আর আমরা গরীবেরা সবাইকে নিয়ে কবরে চলে যাই।"
অর্থাৎ, লেখক রবি হোসাইন জানাচ্ছেন যে, তিনি বিসিএস ক্যাডার হননি। বরং তার আগের ফেসবুক পোস্ট তিনি ক্যাডার হওয়ার তথ্য পোস্ট করেছিলেন কাছের মানুষজনের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণের জন্য।
এতটা স্পষ্ট ডিসক্লেইমার একটি লেখার থাকার পরও সেটিকে 'রবি হোসাইনের সাফল্যের গল্প' হিসেবে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আমাদের সময় ডট কম।
এ বিষয়ে বুম বাংলাদেশ'র এর পক্ষ থেকে রবি হোসাইনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, "এই কাণ্ড দেখে আমি বিষ্মিত ও ক্ষুব্ধ। একটি অনলাইন পোর্টাল এমন কাণ্ড করে কিভাবে!"
তিনি বলেন, "বিনা অনুমতিতে লেখা প্রকাশ করা আমি ক্ষুব্ধ। বিশেষত সেই লেখাটি যদি না পড়েই প্রকাশ করা হয় তাহলে সাংবাদিক নিয়োগ দেয়ার প্রয়োজন কী?"
রবি জানান, তিনি অনুরোধ করার পর সম্প্রতি ওয়েবসাইট থেকে লেখাটি সরিয়ে দেয়া হয়। যদিও আমাদের সময় এর ফেসবুক পেইজে লেখাটি এখনও রয়েছে।