সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি, পেজ ও গ্রুপে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার একটি ছবি শেয়ার করা হচ্ছে। ছবিটিতে তাকে অতি সাধারণ পোশাকে গাড়ির সামনে এসে আর্থিক সাহায্য চাইতে দেখা যায়। এরকম কয়েকটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২০ ডিসেম্বর 'Md Sazzad Hossain' নামে একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার একটি ছবি শেয়ার করে বলা হয়, "দেশটা ডিজিটাল করে বিপদে আছি,,বিকাশ নেই বলে ভি'ক্ষাও নিতে পারিনি🙂"। ছবিটিতে সেখ হাসিনাকে অতি সাধারণ পোশাকে গাড়ির সামনে এসে আর্থিক সাহায্য চাইতে দেখা যায়। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, আলোচ্য ছবিটি এডিটেড। ভিন্ন একটি ঘটনায় ধারণকৃত এক ভিক্ষুকের ছবিতে এডিটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার চেহারা বসিয়ে আলোচ্য ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।
ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দৈনিক পত্রিকা জনকণ্ঠের অনলাইন ভার্সনে ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর "বিকাশের মাধ্যমে ভিক্ষা নিলেন ভিক্ষুক, ছবি ভাইরাল" শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে আলোচ্য ছবিটির মত ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, "রাজধানী ঢাকাতে দেখা গেছে,বিস্ময় হওয়ার মতো এক কাণ্ড। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভিক্ষা নিয়েছেন এক ভিক্ষুক। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় গুলশান দুই নম্বরে। ফেসবুকে এ ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়েছে।" স্ক্রিনশট দেখুন--
আরো সার্চ করে অনলাইন পোর্টাল ডেইলি ক্যাম্পাসের ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর "বিকাশে টাকা নিচ্ছেন ভিক্ষুক" শিরোনামে আরেকটি প্রতিবেদনেও আলোচ্য ছবিটির মত ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনটি থেকেও জানা যায়, গুলশানে এক ভিক্ষুকের মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যম বিকাশে ভিক্ষা নেওয়ার ঘটনা আলোচনার সৃষ্টি করে। স্ক্রিনশট দেখুন--
এবারে, আলোচ্য পোস্টে যুক্ত ছবির একটি স্ক্রিনশট (বামে) এবং অনলাইন পোর্টাল ডেইলি ক্যাম্পাসের ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত ছবিটির (ডানে) একটি তুলনামূলক চিত্র দেখুন--
এছাড়াও বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম চ্যানেল টোয়েন্টিফোর এবং নিউজ টোয়েন্টিফোরের ওয়েবসাইটে প্রচারিত প্রতিবেদন থেকেও আলোচ্য ঘটনা সম্পর্কে জানা যায়।
অর্থাৎ আলোচ্য পোস্টে যুক্ত ছবিটি এডিটেড। ভিন্ন একজন ব্যক্তির ছবিকে এডিটের মাধ্যমে শেখ হাসিনার চেহারা বসিয়ে আলোচ্য ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।
সুতরাং ভিন্ন ব্যক্তির ছবিকে এডিট করে শেখ হাসিনার মুখ বসিয়ে ছবি তৈরি করে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।