সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি, গ্রুপ ও পেজ থেকে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এরকম কয়েকটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ১৫ সেপ্টেমবর 'বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি চেতনায় শেখ হাসিনা,অনলাইন পাব্লিক গ্রুপ,' নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে 'Arian Ahmad Ajmol' নামের একটি আইডি থেকে ভিডিওটি পোস্ট করে বলা হয়, "পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ষার। ভাবতেও পারিনি এত দ্রুত রাজনীতির স্বাদ মিটে যাবে!" স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য দাবিটি সঠিক নয়। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের ভেরিফায়েড পেজ থেকে গত ১০ আগস্ট প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ সম্পর্কিত একটি পুরোনো ভিডিওকে সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচ্য দাবিতে ভিডিওটি পোস্ট করা হচ্ছে। এছাড়াও, আলোচ্য দাবিটি গুজব বলে তিনি ১৬ সেপ্টেম্বর নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় নিশ্চিত করেছেন।
কি-ওয়ার্ড সার্চ করে আলোচ্য দাবির প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমগুলোতে কোনো ধরণের প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকেও এমন কোনো দাবির ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে, কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ১৬ সেপ্টেম্বর নিজের ভেরিফায়েড পেজ 'Dr. Asif Nazrul' থেকে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় আলোচ্য দাবিগুলো গুজব বলে নিশ্চিত করেছেন। সেখানে তিনি বলেন, আজগুবি তথ্য যারা ছড়াচ্ছেন তা জুলাই বিপ্লবের জনগণের প্রত্যাশাকে বিভ্রান্ত করা এবং জনমনে অহেতুক প্রশ্ন সৃষ্টি করার জন্য অসৎ উদ্দেশ্যে তৈরি করা হচ্ছে। পোস্টটি দেখুন--
এদিকে, কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গত ১০ আগস্ট তার ভেরিফায়েড পেজ থেকে "প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ" শিরোনামে একটি ভিডিও পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। যেই ভিডিওটির সঙ্গে ফেসবুকে ভাইরাল দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল পাওয়া যায়। ভিডিওটির স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল পদত্যাগ করেননি। বরং প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের ব্যাপারে তার ফেসবুক পেজের একটি ভিডিওকে সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচ্য দাবিতে ভিডিওটি পোস্ট করা হচ্ছে।
সুতরাং প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ নিয়ে করা আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের একটি ভিডিও সম্পাদনা করে তার পদত্যাগের ঘোষণার বলে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।