সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজ থেকে একটি ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করে বলা হচ্ছে, নদীর পানি থেকে একটি মসজিদ ভেসে ওঠার ভিডিও এটি। ভিডিওটিতে নদীর পাশ থেকে স্লো মোশনে একটি স্থাপনা উঠে আসতে দেখা যায়। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ২৯ জুন 'MD Humayun Roshidn' নামের ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিও ক্লিপটি পোস্ট করে লেখা হয় "মহান আল্লাহ পাকের কুদ্রত যে কত অসিম। মসজিদটি নদীর পানির নিচ থেকে উপরে উটিয়ে দিলেন।" স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ভাইরাল ভিডিওটি এডিট করা। মূলত নদী ভাঙ্গনের একটি স্বাভাবিক ভিডিওকে রিভার্স মুড তথা উল্টো করে এডিট করে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
ভিডিওটি থেকে কী ফ্রেম কেটে সার্চ করার পর, 'John Wodden' নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে মূল ভিডিও ক্লিপটি খুঁজে পাওয়া গেছে , যা ২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা আছে, "Sinkhole Swallows Up Beach Shoreline Along With House"। ভিডিওর বিবরণে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি বাংলাদেশের কোনো এক স্থানের। আবার ভিডিওটিতে দৃশ্যমান মানুষদেরও বাংলা ভাষায় কথা বলতে শোনা যায়। ভিডিওটি মনোযোগ দিয়ে দেখলে দেখা যায়, নদীর পাড় ভাঙ্গনে একটি স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। মূলত এই ভিডিওটিকেই এডিট করে রিভার্স মুড বা উল্টো ভাবে প্রচার করা হচ্ছে যাতে পেছনের দৃশ্যটি সামনে চলে আসছে। ভিডিওটি দেখুন--
অর্থাৎ ভাইরাল ভিডিওটি এডিট করা।
সার্চ করার পর, স্প্যানিশ ভাষী চিলিয়ান সম্প্রচার মাধ্যম টেলে১৩-এর ওয়েবসাইটেও ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়, যা ২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর প্রকাশ করা হয় সেখানেও ভিডিওটি বাংলাদেশের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। স্ক্রিনশট দেখুন--
ভিডিওটি বাংলাদেশের কোন স্থানের তা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও, মূল ভিডিওটি বিশ্লেষণ করে বুম বাংলাদেশ নিশ্চিত হয়েছে বর্তমানে বিভ্রান্তিকর দাবিতে ভাইরাল ভিডিওটি এডিট করা। মূলত নদীর পাড় ভাঙ্গনে স্বাভাবিক ভিডিওকেই এডিট করে উল্টোভাবে প্রচার করা হচ্ছে।
সুতরাং নদীর পাড় ভাঙ্গনে একটি ভিডিওকে এডিট করে উল্টোভাবে বিভ্রান্তিকর দাবিসহ প্রচার করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে।