সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি, পেজ ও গ্রুপে পাহাড়ের নিচ দিয়ে নির্মাণ করা একটি টানেলের ছবি পোস্ট করে ছবিটি বাংলাদেশের ফটিকছড়ি টানেলের বলে দাবি করা হচ্ছে। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি 'Rimu’s Reflection' নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে এমন একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, "ফটিকছড়ি টানেল ❤️🥰— at ইসলামপুর রোড,হেয়াকো বাজার,ফটিকছড়ি, চ্রটগ্রাম।"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ আলোচ্য ছবিটি ফটিকছড়িতে নির্মিত টানেলের বলে দাবি করা হচ্ছে।
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। ছবিতে দেখানো টানেলটি বাংলাদেশের নয় বরং এটি তাইওয়ানের দীর্ঘতম টানেল, এর নাম শুয়েশান টানেল।
ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে 'Engineering and Architecture' নামে একটি ফেসবুক পেজে আলোচ্য ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। ওই ফেসবুক পোস্টের ক্যাপশনে ছবিটির বর্ণনায় বলা হয়েছে, 'শুয়েশান টানেল' বা 'স্নো মাউন্টেন' টানেল, তাইওয়ানের দীর্ঘতম টানেল, তাইপেই-ইলান ফ্রিওয়েতে (তাইওয়ান জাতীয় মহাসড়ক নং ৫) অবস্থিত। এটি ১৬ জুন, ২০০৬ সালে চালু করা হয়েছিল।" ফেসবুক পোস্টটি দেখুন--
আরো সার্চ করে 'neverknownfacts' নামে একটি ওয়েবসাইটে "Hsuehshan Tunnel, Taiwan" শিরোনামের একটি নিবন্ধে আলোচ্য ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। নিবন্ধটি থেকে জানা যায়, তাইওয়ানের টানেলটি নিউ তাইপে সিটি ও ইলান কাউন্টিকে যুক্ত করেছে। এছাড়াও নিবন্ধটিতে আরো বলা হয়, টানেলটি তাইওয়ানের দীর্ঘতম টানেল, আর পূর্ব-এশিয়ায় দ্বিতীয় এবং বিশ্বে পঞ্চম দীর্ঘতম রোড টানেল। স্ক্রিনশট দেখুন--
এদিকে, ফটিকছড়িতে কোনো টানেল নির্মিত হয়েছে কিনা বা নির্মাণ হচ্ছে কিনা জানতে নানাভাবে কি-ওয়ার্ড সার্চ করেও গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত কোনো খবর পাওয়া যায়নি। বরং কি-ওয়ার্ড সার্চে জানা যায়, বাংলাদেশে নির্মিত প্রথম ও একমাত্র টানেল হলো কর্ণফুলি নদীর নিচ নিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল, যা গত বছরের ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয়।
অর্থাৎ আলোচ্য ছবিটি বাংলাদেশের ফটিকছড়িতে নির্মিত কোনো টানেলের নয় বরং শুয়েশান টানেল নামের এই টানেলটি তাইওয়ানে অবস্থিত।
সুতরাং তাইওয়ানে টানেলের ছবিকে বাংলাদেশের দাবি করে ফেসবুক প্রচার করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।