সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেনাবাহিনী নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরকম একটি পোস্ট দেখুন এখানে।
গত কয়েক ঘন্টা আগে 'Tonmoy Media Tv' নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলা হয়, "🔴এইমাত্র হঠাৎ সেনাবাহিনীর সাথে একি সিদ্ধান্ত নিলো পিটার হাস।নির্বাচনের আগেই মাঠে নামলো সেনাবাহিনী।" ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সাথে বৈঠক করেছেন। তবে, সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তির সাথে তার কোনো বৈঠকে বসা বা সেনাবাহিনী রাস্তায় অবস্থান গ্রহণের কোনো সংবাদ গণমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
কি-ওয়ার্ড সার্চ করে দৈনিক পত্রিকা ইত্তেফাকের অনলাইন ভার্সনে "পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকে পিটার হাস" শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আজ (৩০ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। তবে, ওই প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সেনাবাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্ট কারোর সাথে বৈঠক বা কোনোপ্রকার আলোচনার ব্যাপারে বলা হয়নি। স্ক্রিনশট দেখুন--
এছাড়াও, আজকের পত্রিকা, কালের কণ্ঠ এবং একাত্তর টিভির অনলাইন ভার্সনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম এই একই সংবাদ প্রচার করেছে।
এদিকে, বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড ধরে সার্চ করেও সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট কারোর সাথে পিটার ডি হাসের আলোচনার সংবাদ গণমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়নি পাশাপাশি সেনাবাহিনীর মাঠে নামার কোনো তথ্যও গণমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেনাবাহিনী মাঠে নামলে স্বাভাবিকভাবেই এটি গণমাধ্যমে গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হওয়ার কথা।
অর্থাৎ সেনাবাহিনীর সাথে পিটার ডি হাসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেনাবাহিনী মাঠে নামার দাবিটি সঠিক নয়।
সুতরাং বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।