ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি ও পেজ থেকে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালের লিংক পোস্ট করে, প্রাইভেট কিংবা কোচিং না করেও পাবনার সুজানগর উপজেলায় নাজিফার সর্বোচ্চ ১২১৯ মার্কস পেয়ে মেধা তালিকায় দ্বিতীয় হওয়ার একটি খবর প্রচার করা হচ্ছে। খবরটির সাথে এক কিশোরী ও মধ্যবয়সী এক নারীর ছবিও যুক্ত করা আছে। দেখুন এমন কিছু পোস্ট এখানে, এখানে, এবং এখানে।
গত ২৯ আগস্ট 'BCS Preparation & All Job' নামের ফেসবুক পেজ থেকে একটি অনলাইন পোর্টালের লিংক শেয়ার করে বলা হয় "কোন কোচিং ছাড়াই ১৩শ' নম্বরের মধ্যে ১২১৯ পেয়ে সেরা নাজিফা!"।
হুবহু একই শিরোনামে প্রকাশিত ওই খবরটির ডেটলাইন "5 days ago" উল্লেখ করা আছে। ডেটলাইন ও ফেসবুক পোস্টের তারিখ দেখে স্বাভাবিকভাবেই খবরটি সাম্প্রতিক মনে হচ্ছে। পাশাপাশি ফেসবুক ব্যবহারকারীদের খবরটি সাম্প্রতিক মনে করে মন্তব্য করতে দেখা গেছে। দেখুন খবরটির স্ক্রিনশট--
ফেসবুক পোস্টের কিছু কমেন্ট দেখুন-
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, খবরটি সাম্প্রতিক নয়। কারণ করোনা মহামারির কারণে চলতি ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিতই হয়নি।
কিওয়ার্ড সার্চ করে দেখা গেছে, অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত খবরটি কপি করা। ২০২০ সালের ৯ জুন অনলাইন গণমাধ্যম বাংলাদেশ টাইমসে "কোচিং ছাড়াই ১৩শ' নম্বরের মধ্যে ১২১৯ পেয়ে সেরা নাজিফা!" শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। দেখুন স্ক্রিনশট--
বাংলাদেশ টাইমসের খবরটিকেই শিরোনামসহ হুবহু কপি করে আলোচ্য অনলাইন পোর্টালে নতুন খবর হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। দেখুন প্রতিবেদন দুটির পাশাপাশি স্ক্রিনশট--
বাংলাদেশ টাইমসের উক্ত প্রতিবেদনে আলোচ্য অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত ছবিটিও খুঁজে পাওয়া গেছে। অর্থাৎ খবরটি ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল লাভের। ভিন্ন একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত গত বছরের খবরটিকেই হুবহু কপি করে সূত্রহীনভাবে নতুন ডেটলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি তৎকালে রিকাত আনযুম নাজিফার এসএসসি পরীক্ষায় সাফল্য লাভের খবরটি দৈনিক যুগান্তরের অনলাইন ভার্সনেও প্রকাশিত হয়।
সুতরাং অভাবকে জয় করে সুজনগরের নাজিফার এসএসসি পরীক্ষায় ভাল ফল করার পুরোনো খবরকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে নতুন করে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।