সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি খবরের লিংক শেয়ার করে বলা হচ্ছে, বিকাশ একাউন্ট থাকলেই পাওয়া যাবে ১০ হাজার টাকার ঋণ। দেখুন এমন কয়েকটি পোস্ট এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর 'ভাইরাল নিউজ - VN' নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে 'বিকাশ একাউন্ট থাকলেই পাবেন ১০ হাজার টাকা ঋণ' শিরোনামের একটি খবরের লিংক শেয়ার করা হয়। ডেটলাইন অনুযায়ী গত ২২ আগস্ট প্রকাশিত এই খবরটিতে বলা হয়, বিকাশ একাউন্ট থাকলেই ১০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়া যাবে ব্যাংকের মাধ্যমে। সর্বপ্রথম সিটি ব্যাংক এই 'ডিজিটাল ঋণ' চালু করল। এতে আরো বলা হয়, একটি পাইলট প্রকল্পের আওতায় শুরুতে সীমিত সংখ্যক নির্বাচিত কিছু বিকাশ-অ্যাপ ব্যবহারকারীকে বিনা জামানতে এই ঋণ দেয়া হবে। দেখুন সেই পোস্টের স্ক্রিনশট-
খবরটির স্ক্রিনশট দেখুন--
খবরটির আর্কাইভ ভার্সন এখানে।
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, বিকাশে ঋণ দেয়ার এই খবরটি পুরোনো। ২০২০ সালে এই খবরটি মূলধারার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। তন্মধ্যে ২০২০ সালের ২১ জুলাই এই খবরটি হুবহু শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছিল বাংলা ট্রিবিউনে। খবরটিতে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, মূলত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কথা ভেবেই এই ডিজিটাল ঋণ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। দেখুন খবরটির স্ক্রিনশট--
খবরটি দেখুন এখানে। এছাড়া দৈনিক প্রথম আলোসহ বেশ কিছু গণমাধ্যমে তখন এই খবরটি প্রকাশিত হয়। দেখুন এখানে এবং এখানে।
এছাড়া একই দিনে অর্থাৎ ২০২০ সালের ২১ জুলাই বিকাশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটেও ঋণ দেয়ার এই ঘোষণাটি পাওয়া গেছে। শিরোনামটি ছিল, 'সিটি ব্যাংকের সহায়তায় তাৎক্ষণিক ঋণ পাচ্ছেন বিকাশের গ্রাহকরা'। এখানে আরো বলা হয়েছে, এই পাইলট প্রকল্পটি সফল হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতিক্রমে উপযুক্ত গ্রাহকদের জন্যে তারা একটি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করে দেবে। দেখুন বিকাশের ঘোষণাটি--
উল্লেখ্য গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত পরিসরে শুরু হলেও পরবর্তীতে এই ঋণ সকলের জন্যে উন্মুক্ত করার ঘোষণা কোনো গণমাধ্যমে খুঁজে পায়নি বুম বাংলাদেশ।
সুতরাং ২০২০ সালের একটি পুরনো খবরকে সম্প্রতি অপ্রাসঙ্গিকভাবে নতুন করে হুবহু প্রকাশ করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।