সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি খবর শেয়ার করে বলা হচ্ছে, কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি এক তরুণ ৫৩ লাখ টাকা জিতেছে। দেখুন এমন কিছু পোস্ট এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর 'লাল সবুজের বংলাদেশ 🇧🇩' নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে একটি খবর পোস্ট করা হয় যার শিরোনাম, 'কোরআন প্রতিযোগিতা জিতে বাংলাদেশি বালক পেল ৫৩ লাখ টাকা'। দুই সপ্তাহ আগে প্রকাশিত খবরটির বিস্তারিত অংশে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ২১ তম দুবাই ইন্টারন্যাশনাল হলি কোরআন অ্যাওয়ার্ড জিতল বাংলাদেশি বালক হাফেজ মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম। প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার হিসেবে তরিকুলকে আড়াই লাখ দিরহাম দেয়া হয় যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫৩ লাখ টাকা। দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স শাইখ আহমাদ বিন মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুম তরিকুলের হাতে পুরস্কার হস্তান্তর করেন। দেখুন সেই পোস্টের স্ক্রিনশট--
খবরটির বিস্তারিত অংশের স্ক্রিনশট--
খবরটির আর্কাইভ ভার্সন পড়ুন এখানে।
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, বাংলাদেশি হাফেজের দুবাইয়ে কোরআন প্রতিযোগীতায় প্রথম হওয়ার খবরটি পুরোনো। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের একাধিক গণমাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল। ২০১৭ সালের ১৭ জুন 'দুবাইয়ে কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশি কিশোর' শিরোনোমে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করে দৈনিক সমকাল। দেখুন--
সমকালের প্রতিবেদনে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ২১তম আন্তর্জাতিক এ প্রতিযোগিতায় ১০৩টি দেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে প্রথম হয় ১৩ বছর বয়সী বাংলাদেশি কিশোর হাফেজ মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম।
এর আগের দিন অর্থাৎ ২০১৭ সালের ১৬ জুন একই খবর প্রকাশ করে দৈনিক কালের কন্ঠ। 'দুবাই আন্তর্জাতিক কোরান প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের তরিকুল প্রথম' শিরোনামের খবরটি দেখুন স্ক্রিনশট--
অর্থাৎ ৪ বছরেরও বেশি পুরোনো সংবাদমূল্যহীন একটি খবরকে দিন তারিখ উল্লেখ না করেই নতুন খবর হিসেবে প্রকাশ করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।