সামাজিক মাধ্যম ও অনলাইন পোর্টালে আমি 'দীঘিকে ভালোবাসি এবং আমাদের বিয়ে হওয়ার কথা: অমিত হাসান' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছড়ানো হচ্ছে। কাছাকাছি শিরোনামেও আরো কিছু পোর্টালে একই প্রতিবেদন এসেছে। দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
ফ্যাক্ট চেক:
প্রতিবেদনগুলো যাচাই করে দেখা যায়, কোন প্রতিবেদনেই শিরোনামের সাথে মূল খবরের সরাসরি সম্পর্ক নেই। জাগো নিউজের একটি প্রতিবেদনকে আংশিক পরিবর্তন করে কপি করে এই প্রতিবেদনগুলো প্রকাশ করা হয়েছে। মূল খবরে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত 'তুমি আছো তুমি নেই' শিরোনামের একটি সিনেমায় অভিনেতা অমিত হাসান ও নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি অভিনয় করছেন মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে অমিত হাসানের বিপরীতে দীঘিকে দেখা যাবে। এই ছবি প্রসঙ্গেই অমিত হাসান জাগো নিউজকে বলেন, 'এই গল্পটি একটি গ্রামীণ প্রেক্ষাপটের। এখানে আমার চরিত্রটির নাম শাহী। আমি দীঘিকে ভালোবাসি এবং আমাদের বিয়ে হওয়ার কথা। কিন্তু আমার বয়স বেশি হওয়ায় সমস্যা দেখা দেয়।'
ফিল্মের চরিত্র নিয়ে সংবাদমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যকে এভাবে কোন উদ্ধরণ চিহ্ন ছাড়াই শিরোনাম বানিয়ে প্রকাশ করার মাধ্যমে প্রতিবদেনটি সাধারণ পাঠকের কাছে অমিত হাসান ও দীঘির ব্যক্তিগত জীবনের বলে মনে হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, অনলাইনে বেশিরভাগ পাঠক শিরোনাম দেখেই সেই সংবাদ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেন। যারা আলোচ্য প্রতিবেদনে ক্লিক করে পুরোটা পড়বেন না, তারা বাস্তব জীবনে অমিত হাসান এবং দীঘির ভালোবাসা ও বিয়ে হওয়ার কথা ছিল বলে ভুল করতে পারেন। অতএব শিরোনামটি স্পষ্টত: বিভ্রান্তিকর।