সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি, পেজ ও গ্রুপ থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলা হচ্ছে, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতার ঘটনায় গ্রেফতার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ৩ অক্টোবর 'রুমিন ফারহানা 2.0' নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করে বলা হয়, "যুক্তরাষ্ট্রের চাপে এই মাত্র মির্জা ফখরুলকে মুক্তি দিলেন আদালত ৩১ তারিখ থেকে অবরোধ/ bnp awamilegue"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। গণমাধ্যমে প্রাপ্ত সর্বশেষ খবর থেকে জানা যায়, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখনো কারাগারেই আছেন এবং তাঁর মুক্তির পুরোনো খবরের ভিডিও দিয়ে বিভ্রান্তিকর দাবিতে নতুন করে প্রচার করা হচ্ছে।
ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে ভিডিওর ১৫ সেকেন্ড থেকে সংবাদের উপস্থাপিকাকে বলতে শোনা যায়, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনের কপি আজ কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে পৌছেছে। কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর...। উক্ত ভিডিওটিতে উপস্থাপিকা এবং তার বক্তব্যের টেক্সট ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে এ বছরের ৯ জানুয়ারি নিউজ টোয়েন্টিফোরের ওয়েবসাইটে "কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ফখরুল-আব্বাস | LIVE | Mirza Fakhrul | Abbas | BNP | News24" শিরোনামে প্রচারিত একটি ইউটিউব ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ৯ জানুয়ারি প্রচারিত ওই ভিডিও এবং আলোচ্য ভিডিওতে দেখানো সংবাদটি এক। ইউটিউব ভিডিওটি দেখুন--
এদিকে, কি-ওয়ার্ড সার্চ করে দৈনিক পত্রিকা যুগান্তরের অনলাইন ভার্সনে আজ (২ নভেম্বর) "কারাগারে ফখরুল, তাকে দেওয়া ইসির চিঠি গ্রহণ করবেন কে?" শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, "নির্বাচন কমিশন (ইসি) আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগামী ৪ নভেম্বর ফের দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য অন্য নিবন্ধিত দলের পাশাপাশি বিএনপিকেও আলোচনায় অংশ নিতে চিঠি দিয়েছে ইসি। তবে এ চিঠি কে গ্রহণ করবেন তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে দলটির মধ্যে।" অর্থাৎ, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখনো কারাগারেই অবস্থান করছেন। স্ক্রিনশট দেখুন--
এছাড়াও, বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড ধরে সার্চ করেও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কারামুক্তির সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাব্দের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরবর্তীতে তাঁকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
সুতরাং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কারামুক্তির ভুয়া খবর প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে; যা বিভ্রান্তিকর।