সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজ থেকে ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ড. মুরাদ হাসানের ছবি যুক্ত করে একটি ভিডিও পোস্ট করা হচ্ছে। যেখানে দাবি করা হচ্ছে, মাহির সাথে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করেন ডা. মুরাদ। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ৩১ ডিসেম্বর 'চট্টগ্রাম ইতিহাস' নামের একটি পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করে লেখা হয়, "ঠিক আছে তাহলে যাব।" নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য দাবিটি সঠিক নয়। মূলত, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় মাহিয়া মাহির সময় টিভিতে প্রচারিত হওয়া একটি ভিডিওতে ভিন্ন একটি অডিও যুক্ত করে আলোচ্য ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।
ভিডিওটি থেকে কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে "ভোটের সব খবর জানতে চোখ রাখুন সময়ে" শিরোনামে সময় টিভির ইউটিউব চ্যানেলে অরিজিনাল ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। যার সঙ্গে আলোচ্য ভিডিওটির মিল পাওয়া যায়। স্ক্রিনশট দেখুন--
ভিডিওটিতে যুক্ত অডিওর উৎস:
আলোচ্য ভিডিওটির অরিজিনাল সাউন্ড এর জায়গায় গত বছরের ২৩ নভেম্বর বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম ডিবিসি নিউজ এর ইউটিউব চ্যানেলে "পদের লোভ দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ" শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিওর ১০ মিনিট ৬ সেকেন্ড থেকে অডিও নিয়ে আলোচ্য ভিডিওতে যুক্ত করা হয়েছে ।ডিবিসি নিউজে প্রকাশিত ভিডিওটি যৌন নির্যাতনের শিকার দাবি করা এক ভুক্তভোগী ছাত্রীর সংবাদ সম্মেলনের। ভিডিওটি থেকে ওই ছাত্রীর তার সাথে ঘটা ঘটনার বর্ণনার কিছু অংশ কেটে নিয়ে আলোচ্য ভিডিওতে যুক্ত করা হয়েছে। ডিবিসি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওটির স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থ্যাৎ সময় টিভির ধারণ করা মাহিয়া মাহির একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিওতে ভিন্ন একটি সংবাদ সম্মেলনের অডিও যুক্ত করে আলোচ্য ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।
সুতরাং মাহিয়া মাহির পুরোনো ভিডিওতে ভিন্ন একটি মেয়ের সংবাদ সম্মেলনের অডিও যুক্ত করে বিভ্রান্তিকর দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে।