সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজ থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত একটি ফটোকার্ড পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, তিনি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বোতল প্রতীকে নির্বাচন করবেন। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ৩ ডিসেম্বর 'Bangla Politix' নামের একটি পেজ থেকে এমন একটি ফটোকার্ডটি পোস্ট করে তার ক্যাপশনে বলা হয়, "গোপনসূত্রে জানা গেছে বোতল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন ম্যাডাম। #বিএনপি #অবরোধ #হরতাল #রাজনীতি।" ফটোকার্ডটির উপরেও একই তথ্য লেখা রয়েছে। নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে ফটোকার্ডে উল্লেখ্য করা এমন কোনো তথ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া অথবা তাঁর দল বিএনপির পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়নি। বরং খালেদা জিয়া বর্তমানে আদালতের রায়ে একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামী এবং গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সংবিধান অনুযায়ী কোনো সাজাপ্রাপ্ত আসামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন না।
কি-ওয়ার্ড সার্চ করে বিএনপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ এবং বিএনপি মিডিয়া সেলে খালেদা জিয়ার স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা নিয়ে কোনো ধরণের তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতেও বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে কোনো প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং তার নেতৃত্বাধীন বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে সে ব্যাপারে একাধিক প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। স্ক্রিনশট দেখুন--
অন্যদিকে, কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে "খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে বাধা নেই তবে নির্বাচন করতে পারবেন না: আইনমন্ত্রী" শিরোনামে ডেইলি স্টার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, খালেদা জিয়া ২টি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলে থাকার কারণে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। স্ক্রিনশট দেখুন--
এছাড়া, কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী দেখা গেছে গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে গত ৯ আগস্ট থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি নির্বাচন করবেন এমন কোনো তথ্য কোনো মাধ্যমে পাওয়া যায়নি।
অর্থাৎ বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বতন্ত্রভাবে বোতল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন দাবিটি সঠিক নয়।
সুতরাং, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা নিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে জড়িয়ে ভুয়া তথ্য প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।