HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
ফেক নিউজ

সময় টিভির লোগো যুক্ত করে মেসির নামে ভুয়া বক্তব্য প্রচার

বুম বাংলাদেশ দেখেছে, সময় টিভির লোগো যুক্ত করে মেসির বক্তব্য দাবি করে ডিজিটাল কার্ডটি বানানো হয়েছে, যা ভিত্তিহীন।

By - Ummay Ammara Eva | 14 Jun 2023 8:36 PM IST

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি, পেজ ও গ্রুপে সময় টিভির লোগো যুক্ত করে একটি গ্রাফিক ডিজিটাল পোস্টার প্রচার করা হচ্ছে যেখানে দাবি করা হচ্ছে, আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি বলেছেন, তিনি সৌদি আরবের ক্লাবে যাননি, কারণ সেখানে চুরির শাস্তি হিসেবে হাত-পা কেটে দেওয়া হয়। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানেএখানে

গত ৯ জুন "Mark Neymar" নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে সময় টিভির লোগো ও লিওনেল মেসির ছবি যুক্ত করে একটি ডিজিটাল পোস্টার পোস্ট করে লেখা হয়, "অবশেষে খিং মেষি আসল তথ্য ফাঁস করলো। 😑" ওই গ্রাফিক পোস্টারে লেখা রয়েছে, "সৌদিতে যাইনি কারণ, সেখানে চুরির শাস্তি হাত পা কেটে দেওয়া হয়। নাহলে আমি যেতাম। সৌদি আরব সম্পর্কে মেসি।" স্ক্রিনশট দেখুন--


অর্থ্যাৎ, ওই পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, সময় টিভি জানিয়েছে, আর্জেন্টাইন ফুটবলার লিওনেল মেসি সৌদি আরবের আইনে চুরির শাস্তি হিসেবে হাত কেটে দেওয়ার বিধানের কারণেই সেদেশের ক্লাবে খেলতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

 ফ্যাক্ট চেক:

বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, দাবিটি সঠিক নয়। বেসরকারি টেলিভিশন সময় টিভি এ ধরণের খবর পরিবেশন করেনি। বরং লিওনেল মেসিকে নিয়ে বানানো সময় টিভির একটি গ্রাফিক কার্ডকে এডিটের মাধ্যমে মেসির নামে ভুয়া বক্তব্য জুড়ে দিয়ে আলোচ্য গ্রাফিক কার্ডটি তৈরি করা হয়েছে, যা ভিত্তিহীন।

আলোচ্য গ্রাফিক কার্ডটির উৎস খুঁজতে সার্চ করে বেসরকারি টেলিভিশন সময় টিভির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভিন্ন লেখা সম্বলিত একই রকম দেখতে একটি গ্রাফিক কার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। সময় টিভির ফেসবুক পেজের ওই ছবিতে লেখা থাকতে দেখা যায়, "অর্থের বিষয় হলে আমি সৌদি আরবকে বেছে নিতাম: মেসি"। ফেসবুক পোস্টটি দেখুন--

Full View

উক্ত গ্রাফিক কার্ডটিকে এডিট করে মেসির বক্তব্যের স্থলে মনগড়া বক্তব্য বসিয়ে আলোচ্য গ্রাফিক কার্ডটি তৈরি করে প্রচার করা হচ্ছে। আলোচ্য গ্রাফিক কার্ডটি ও সময় টিভির গ্রাফিক কার্ডটির মধ্যে তুলনামূলক সাদৃশ্য দেখুন--

 আলোচ্য গ্রাফিক কার্ডটি (বামে) এবং সময় টিভির গ্রাফিক কার্ডটি (ডানে)

এতে বিষয়টি স্পষ্ট যে সময় টিভির ফেসবুক পেজে প্রকাশিত গ্রাফিক কার্ডটি এডিট করে আলোচ্য বিভ্রান্তিকর গ্রাফিক কার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

এবার সময় টিভির ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে সময় টিভির অনলাইন ভার্সনের ওয়েবসাইটে গিয়ে "অর্থের বিষয় হলে আমি সৌদি আরবকে বেছে নিতাম: মেসি" শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "পিএসজি পরবর্তী গন্তব্য হিসেবে লিওনেল মেসি বেছে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিকে। অনেকের ধারণা ছিল, বিশাল অর্থের প্রস্তাবের কারণে তিনি বেছে নিয়েছেন এ ক্লাবকে। তবে আর্জেন্টাইন তারকা বলছেন, বিষয়টা অর্থের হলে তিনি সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলালকেই বেছে নিতেন।" তবে, ওই প্রতিবেদনে সৌদি আরবে চুরির শাস্তি বিষয়ক কোনো বক্তব্য নেই। স্ক্রিনশট দেখুন--


এদিকে, সময় টিভির লোগো ব্যবহার করে মেসির উদ্ধৃতি দাবি করে ওই বক্তব্যটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে গ্রাফিক কার্ডটি সময় টিভির বানানো কি না জানতে যোগাযোগ করা হলে টেলিভিশনটির অনলাইন ভার্সনের সম্পাদক মাহফুজুর রহমান বলেন, অনেকেই সময় টিভির লোগো ব্যবহার করে ভুয়া ছবি তৈরি করছে। এরকম কোনো পোস্টার আমরা বানাইনি।

এছাড়াও, লিওনেল মেসি সৌদি আরবের আইনে চুরির শাস্তির কারণে সেদেশের ক্লাবে যোগদান না করার ব্যাপারে কিছু বলেছেন কি না জানতে বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড ধরে সার্চ করে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক কোনো গণমাধ্যমে এরকম কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি পিএসজি ক্লাব ছেড়েছেন লিওনেল মেসি। পরবর্তী গন্তব্য হিসেবে সৌদি ক্লাব আল-হিলালের নাম আলোচনায় এসেছিল সবার আগে। কিন্তু মেসি ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, তিনি আল-হিলাল নয় বরং ইন্টার মিয়ামিতে যাচ্ছেন

সুতরাং সময় টিভির লোগো ব্যবহার করে ভুয়া গ্রাফিক কার্ড বানিয়ে লিওনেল মেসির নামে ভুয়া বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।

Tags:

Related Stories