সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করা বলা হচ্ছে, এটি দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা থেকে ক্যামেরায় ধরা পড়া ওমানের উপকূলে আঘাত হানা হ্যারিকেন 'শাহীন' এর ভিডিও। দেখুন এমন একটি পোস্ট এখানে।
গত ২৪ অক্টোবর 'Ekhon BiswaBangla Sangbad' নামের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলা হয়, 'দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা থেকে ধরা পড়ল ওমানের উপকূলে হারিকেন শাহীন'। অর্থাৎ দাবি করা হচ্ছে, ওমানের উপকূলে আঘাত আনা হ্যারিকেন বা 'সমুদ্রঝড়' 'শাহীন' এর ভিডিও এটি। আরো বলা হয়, এটি ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে দুবাই এর বুর্জ খলিফা থেকে। দেখুন সেই পোস্টের স্ক্রিনশট--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ভিডিওটি কোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগের নয়। একাধিক উৎস থেকে জানা গেছে, মূলত অ্যানিমেশন প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে ভিডিওটি। ভিডিও সার্চিং টুল ব্যবহার করে দেখা গেছে, এই অ্যানিমেশন ভিডিওটি তৈরি করেছেন ব্রেন্ট শ্যাভনোর নামের এক ভিডিও এডিটর। ২০১৯ সালের ২০ মে শ্যাভনোর তার ইন্সটাগ্রাম আইডিতে এই ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করেন। দেখুন সেই ভিডিও--
পরবর্তীতে তিনি ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর একই ভিডিও আবার পোস্ট করে জানান, ভিডিওটি তিনি তৈরি করেছেন এবং অনলাইনে আগ্রহীদের এ ধরণের অ্যানিমেশন ভিডিও তৈরির প্রশিক্ষন দিতে চান তিনি। দেখুন সেই ইন্সটাগ্রাম পোস্টটি এখানে।
২০১৯ সালের মে মাসে একই ভিডিও তিনি তার ফেসবুক পেজেও আপলোড করেছিলেন। সেই পোস্টের ক্যাপশনেও তিনি উল্লেখ করেন, এই 'আর্টওয়ার্ক' টি তার নিজের তৈরি করা। দেখুন সেই ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট--
ফেসবুক পোস্টের লিংক দেখুন এখানে।
আলোচ্য ভিডিওগ্রাফার সম্পর্কে আরো বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া গেছে তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে। মার্কিন নাগরিক ব্রেন শ্যাভনোর কর্মসূত্রে একজন প্রশিক্ষিত ফটো এবং ভিডিওগ্রাফার। তার আগে তিনি মার্কিন নৌবাহিনীতে ছিলেন। বিস্তারিত পড়ুন তাঁর ওয়েবসাইটে।
এছাড়া ভারতের দ্য কুইন্টকে শ্যাভনোর জানান, তিনি বেশকিছু স্থির-ছবিকে একত্রিত করে এই ভিডিওটি তৈরি করেছেন। দেখুন দ্য কুইন্টের ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদনটি এখানে।
উল্লেখ্য ক্যাপশনে সম্প্রতি ওমানে আঘাত হানা 'শাহীন' কে হ্যারিকেন হিসেবে দাবি করা হলেও 'শাহীন'কে মূলত সাইক্লোন হিসেবে গণমাধ্যমে খবরে প্রকাশিত হয়েছে। দেখুন রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন এখানে--
রয়টার্সের প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে।
অর্থাৎ একজন মার্কিন ভিডিওগ্রাফারের তৈরি করা অ্যানিমেশন ভিডিওকে ওমানে সাইক্লোন 'শাহীন' আঘাত হানার বলে দাবি করা হচ্ছে যা ভিত্তিহীন।