সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি, পেজ ও গ্রুপ থেকে পোস্ট করে বলা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনকে নিষ্বেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২২ নভেম্বর 'News Point BD' নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলা হয়, "নির্বাচন কমিশনকে নিষেধাজ্ঞা | সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচনের হুমকি |" স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। নির্বাচন কমিশনকে সেনাবাহিনী বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মত কোনো ঘটনা ঘটেনি।
কি-ওয়ার্ড সার্চ করে জাতীয় বার্তা সংস্থা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ওয়েবসাইটে গতকাল ২৯ নভেম্বর "অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে ইসি সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে: সিইসি" শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, "প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য হয়, সেটি নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।" স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ, এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন স্বাভাবিকভাবেই তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও, বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড ধরে সার্চ করেও সেনাবাহিনী বা ভিন্ন কোনো প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্র থেকে নির্বাচন কমিশনের উপরে কোনোপ্রকার নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সংবাদ গণমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তফসিল ঘোষণার পর থেকেই সংবাদের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে নির্বাচন কমিশন। তাই, সংবাদের গুরুত্বের ভিত্তিতে এটা বোঝাই যায় যে, নির্বাচন কমিশনের উপরে কোনোপ্রকার নিষেধাজ্ঞা এলে গণমাধ্যমে গুরুত্বের সাথে সেই সংবাদ প্রকাশিত হত।
সুতরাং নির্বাচন কমিশনের উপরে নিষেধাজ্ঞার ভুয়া সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।