সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজ থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলা হচ্ছে, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ অর্থাৎ ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ পদত্যাগ করেছেন। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ১৩ ডিসেম্বর 'NRB MEDIA' নামে একটি ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলা হয় "১০০ এমপি মন্ত্রী সহ ৩০০ জনকে নিষেধাজ্ঞা কেঁদে কেঁদে পদত্যাগ করলেন ডিবি হারুন || Bd Tody least news ||"। স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ পদত্যাগ করেননি। বরং ভিন্ন একটি বিষয়ে তাঁর দেওয়া বক্তব্যকে তাঁর পদত্যাগের ভিডিও হিসেবে দাবি করে প্রচার করা হচ্ছে।
আলোচ্য ভিডিওটি পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ভিডিওটির ৫৮ সেকেন্ড থেকে গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদকে বলতে দেখা যায়, "আমার কি বাঁচার অধিকার নেই? প্রতিটি মানুষের বাঁচার অধিকার ও আত্মরক্ষার অধিকার সংরক্ষণ করা হয়েছে। আমি পুলিশ, কিন্তু আগে তো আমি একজন মানুষ।" এর প্রেক্ষিতে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে দৈনিক পত্রিকা দেশ রূপান্তর ডিজিটালের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর আপলোড করা ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা থাকতে দেখা যায়, "পুলিশের কি বাঁচার অধিকার নেই: ডিবি হারুন #harun #DB #DeshRupantor #police"। ভিডিওটির ১০ সেকেন্ড থেকে হারুন অর রশীদকে বলতে শোনা যায়, "প্রতিটি মানুষের বাঁচার অধিকার ও আত্মরক্ষার অধিকার সংরক্ষণ করা হয়েছে। আমি পুলিশ, কিন্তু আগে তো আমি একজন মানুষ। আমারও তো জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী অধিকার আছে। আমার কি বাঁচার অধিকার নেই?"। আলোচ্য ভিডিওটির বক্তব্য এবং দেশ রূপান্তর ডিজিটালের বক্তব্যে হুবহু মিল পাওয়া যায় এবং উভয় ভিডিওতে গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদের পোশাক এবং আশেপাশের পরিবেশ অভিন্ন ছিল। ভিডিওটি দেখুন--
আরো সার্চ করে দেশ রূপান্তরের অনলাইন ভার্সনে "আমার কি বাঁচার অধিকার নেই, প্রশ্ন ডিবিপ্রধান হারুনের" শিরোনামে ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদন থেকেও জানা যায় একই তথ্য। স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ আলোচ্য ভিডিওতে যুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা হারুনের ভিডিওটি তাঁর পদত্যাগ সংক্রান্ত নয় বরং ভিন্ন বিষয়ে দেয়া তাঁর বক্তব্যের ভিডিও এটি।
এছাড়া বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড ধরে সার্চ করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদের পদত্যাগের কোনো সংবাদ গণমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সুতরাং পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদের পদত্যাগের ভুয়া সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।