সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি ও পেজ থেকে একটি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, 'ডেটিং অ্যান্ড রিলেশনশিপ' নামের একটি অধ্যায় ভারতের নবম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হয়েছে। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি 'বাংলাদেশ শিক্ষাবার্তা' নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করে লেখা হয়, "এবার ভারতে নবম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হয়েছে ‘ডেটিং অ্যান্ড রিলেশনশিপ’।" নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য দাবিটি সঠিক নয়। মূলত ভারতের একটি প্রাইভেট প্রকাশনী জি রাম বুকস থেকে প্রকাশিত একটি বইয়ের অধ্যায় এটি, এর সাথে ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড আব সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) এর কোনো সম্পর্ক নেই।
কি-ওয়ার্ড সার্চ করে "CBSE Included Chapter on Dating and Relationships in Class 9?" শিরোনামে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্যা কুইন্টের একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, "ভাইরাল অধ্যায়যুক্ত বইটি জি রাম বুকস লিমিটেড থেকে প্রকাশিত। যার সঙ্গে সিবিএসই এর কোনো সম্পর্ক নেই।" স্ক্রিনশট দেখুন--
এদিকে, কি-ওয়ার্ড সার্চ করে 'G. Ram Books' এর এক্স একাউন্টে গিয়ে আলোচ্য অধ্যায় সম্পর্কে একটি বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়। যেখানে বলা হয়, 'অ্যা গাইড অব সেলপ অ্যাওয়ারনেস এন্ড এমপাওয়ারমেন্ট' বইটি তারা প্রকাশ করেছে। এর সঙ্গে ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড আব সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) এবং ন্যাশনাল কাউন্সিল অব অ্যাডুকেশনাল রিসার্চ এন্ড ট্রেইনিং এর কোনো সম্পর্ক নেই। পোস্টটি দেখুন--
অন্যদিকে, কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) এর এক্স একাউন্ট 'CBSE HQ' এ একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। যেখানে বলা হয়, কিছু মিডিয়া নবম শ্রেণীর পাঠ্য বাইয়ে 'ডেটিং অ্যান্ড রিলেশনশিপ' অধ্যায় নিয়ে ভুলভাবে সংবাদ প্রচার করছে। সিবিএসই এ ধরণের কোনো বই বা অধ্যায় প্রকাশ অথবা কোনো প্রাইভেট কোম্পানিকে এ ধরণের বই প্রকাশ করতে বলেনি। পোস্টটি দেখুন--
অর্থাৎ ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) নবম শ্রেণির বইয়ে 'ডেটিং অ্যান্ড রিলেশনশিপ' নামের কোনো অধ্যায় যুক্ত করেনি।
সুতরাং সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে 'ডেটিং অ্যান্ড রিলেশনশিপ' নামের অধ্যায়টি ভারতের নবম শ্রেণির বইয়ে অন্তর্ভুক্ত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।