সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি ও পেজ থেকে পোস্ট করে বলা হচ্ছে, ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে গেছেন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর 'BD News Point' নামে একটি ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করে বলা হয়, "তামিম ভক্তদের জন্য সুখবর! প্রধানমন্ত্রীর ফোনে বিশ্বকাপ খেলতে ভারতের উদ্দেশ্যে বিমান ধরলো তামিম"। উক্ত ভিডিওটি একটি ছবিকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে যেখানে লাগেজ হাতে ক্রিকেটার তামিম ইকবালকে হাত নাড়তে দেখা যায়। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, দাবিটি সঠিক নয়। তামিম ইকবাল চলতি বিশ্বকাপ খেলতে ভারতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেননি। চলতি বছরের ৩১ জুলাই লন্ডন থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার সময় ঢাকা বিমানবন্দরে তামিম ইকবালের আলোচ্য ছবিটি ধারণ করা হয়।
কি-ওয়ার্ড সার্চ করে দৈনিক আজকের পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে গত ৩১ জুলাই 'দেশে ফিরলেন তামিম, মাঠে ফিরবেন কবে' শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে আলোচ্য ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, "বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে কথা না বললেও হাত নাড়িয়ে ‘হাই’ দিলেন সংবাদকর্মীদের, এরপর গাড়িতে উঠলেন তামিম ইকবাল। চিকিৎসা ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গতকাল রাতেই লন্ডন থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। আজ বিকেল ৫টার পর এসে পৌঁছান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।" স্ক্রিনশট দেখুন--
আরো সার্চ করে অনলাইন পোর্টাল আমাদের সময় ডট কমেও ওই একইদিনে "চিকিৎসা শেষে ঢাকায় ফিরেছেন তামিম" শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে একই দাবিতে আলোচ্য ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। স্ক্রিনশট দেখুন--
উল্লেখ্য, গত ২৬ সেপ্টেম্বর তামিম ইকবালকে বাদ দিয়ে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের স্কোয়াড ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। স্কোয়াডে তামিম ইকবালের স্থান না হওয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্ক চলছিল গত কয়েকদিন ধরেই। এরমধ্যে গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হয় টিম। তবে, বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড ধরে সার্চ করে গণমাধ্যমে তামিম ইকবালের বিশ্বকাপে যোগদান করার কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, বিসিবির ওয়েবসাইট, তামিম ইকবালের ফেসবুক পেজ এবং টুইটার একাউন্টে সার্চ করেও তামিম ইকবালের বিশ্বকাপে যোগ দেওয়ার কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সুতরাং পুরোনো ছবি দিয়ে তামিম ইকবালের বিশ্বকাপ খেলতে ভারত যাওয়ার ভুয়া খবর প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে; যা বিভ্রান্তিকর।