সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি, পেজ ও গ্রুপ থেকে একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হচ্ছে। যেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর মা তার সন্তানের মৃত্যু নিয়ে বলেছেন 'মেটিকিউলাস ডিজাইনের অংশ হিসেবে আমার ছেলের লাশটা তাদের দরকার ছিলো'। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর 'সুষুপ্ত পাঠক' নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ফটোকার্ডটি পোস্ট করা হয়। ওই ফটোকার্ডে লেখা হয়, "মেটিকিউলাস ডিজাইনের অংশ হিসেবে আমার ছেলের লাশটা তাদের দরকার ছিলো: মুগ্ধোর মা।” নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, দাবিটি সঠিক নয়। মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের মা এমন কোনো মন্তব্য মিডিয়াকে দেননি বলে জানান তার ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নীগ্ধ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হওয়া আলোচিত নাম মুগ্ধের ব্যাপারে তার মা এমন মন্তব্য করলে তা মূলধারার গণমাধ্যমগুলোতে গুরুত্বের সঙ্গেই প্রকাশ হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু কি-ওয়ার্ড সার্চ করে আলোচ্য দাবির ব্যাপারে মূলধারার কোনো গণমাধ্যমে এমন কোনো প্রতিবেদন বা তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে শহীদ মীর মুগ্ধের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে, মুগ্ধের ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বুম বাংলাদেশকে জানান, তার মায়ের নামে প্রচারিত এই মন্তব্যটি ভুয়া। তাঁর মা গণমাধ্যমে কিংবা অন্য কোথাও এমন কোনো মন্তব্য করেননি।
এদিকে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে "'আমার ছেলের লাশ তাদের প্রয়োজন ছিল'- মুগ্ধর মায়ের নামে ভুয়া উক্তি ভাইরাল" শিরোনামে আজকের পত্রিকায় একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। যেখানে বলা হয়, মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের মৃত্যু সম্পর্কে তার মা গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করেনি। ভাইরাল মন্তব্যটি ভুয়া। স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে প্রচারিত মন্তব্যটি তার মায়ের নয়; বরং এটি বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
সুতরাং মুগ্ধকে নিয়ে তার মায়ের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।