সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ এবং গ্রুপে একটি ছবি পোস্ট করে বলা হচ্ছে, এটি অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি ও তাঁর স্বামীর সাথে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের ছবি। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি 'Md Boktiar Ahamed Shopnil' নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে "মাহিকে আবারও মুরাদের হাতে তুলে দিলেন রাকিব" ক্যাপশনে একটি ছবি পোস্ট করা হয়। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের ছবিটি এডিটেড। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে স্বামী রাকিব সরকারকে নিয়ে অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি রাজশাহীর মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে দেখা করার সময়ে ছবিটি তোলা হয়। এই ছবিকে এডিট করে খায়রুজ্জামান লিটনের চেহারার স্থলে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের চেহারা বসিয়ে আলোচ্য ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।
আলোচ্য ছবিটি নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ এর মাধ্যমে অনলাইন সংবাদমাধ্যম 'বিডি২৪ লাইভ'-এ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর "অভিনেত্রী থেকে সভানেত্রী মাহি!" শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে মূল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, "চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২’ আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে মাহিয়া মাহি দেখা করেছেন রাজশাহীর মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে"। প্রতিবেদনটির স্ক্রিনশট দেখুন--
পাশাপাশি, অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘বাংলাদেশের কথা’-এ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর "মেয়র লিটনের পা ছুঁয়ে দোয়া নিলেন মাহি" শিরোনামে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনেও আলোচ্য ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটির স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ ২০২২ সালে তোলা উক্ত ছবিটিকে এডিট করে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের চেহারায় ডা. মুরাদ হাসানের চেহারা বসিয়ে আলোচ্য ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, স্বামীর সঙ্গে গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি ডিভোর্সের ঘোষণা দেন মাহিয়া মাহি। ফেসবুক লাইভে এসে কাঁদতে কাঁদতে এই ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, তারা শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদে যাচ্ছেন।
সুতরাং ফেসবুকে অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি ও তার স্বামীর সাথে ডা. মুরাদ হাসানের ছবি দাবি করে এডিট করা ছবি প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।