সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি ও পেজ থেকে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর একটি ফটোকার্ড প্রতিবেদন বা ই-পেপার ভার্সনের রিপোর্ট সদৃশ একটি ছবি পোস্ট করা হচ্ছে। যেখানে দাবি করা হচ্ছে, প্রথম আলো বিদেশে অবস্থানকারী সাংবাদিক ও অনলাইন এক্টিভিস্টদের চাঁদাবাজি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ২৭ অক্টোবর 'নতুন প্রজন্ম ৭১' নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ফটোকার্ডটি পোস্ট করে লেখা হয়, "হাটে হাঁড়ি ভাঙ্গলো প্রথম আলো। ফেরেস্তাদের আসল চেহারা আপনারাও দেখুন..." নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য ফটোকার্ডটি নকল। জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করে আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের বানানো নয় বলে নিশ্চিত করেছে।
কি-ওয়ার্ড ধরে সার্চ করে আলোচ্য দাবির প্রেক্ষিতে কোনো প্রতিবেদন প্রথম আলোর ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যমেও এ ধরণের কোনো প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের নয় বলে প্রথম আলোর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ২৮ অক্টোবর একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। ওই পোস্টে বলা হয়, এই ফটোকার্ডটি প্রথম আলোর নয়। বিভ্রান্তি এড়াতে আমাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ও অনলাইনের সঙ্গে থাকুন। পোস্টটি দেখুন--
অর্থাৎ প্রথম আলোর'র লোগো ব্যবহার করে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি সাংবাদিক ও অনলাইন এক্টিভিস্টদের চাঁদাবাজি সংক্রান্ত নকল ফটোকার্ড প্রচার করা হচ্ছে। প্রথম আলো এমন কোনো খবর কিংবা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।
সুতরাং প্রথম আলোর লোগো ব্যবহার করে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি সাংবাদিক ও এক্টিভিস্টদের চাঁদাবাজি সংক্রান্ত নকল ফটোকার্ড প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।