সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সম্প্রতি কিছু অনলাইন পোর্টালের লিংক পোস্ট করে বলা হচ্ছে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশি বাংলাদেশি-আমেরিকান অধ্যাপক ডক্টর রুহুল আবিদ এবং তার অলাভজনক সংস্থা হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ফর অল (হায়েফা)। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এবং এখানে।
গত ৩০ জুলাই 'Sports News 24' নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে একটি অনলাইন পোর্টালের খবরের লিংক পোস্ট করে লেখা হয়,"নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত বাংলাদেশি ড. রুহুল আবিদ"।
হুবহু একই রকম শিরোনামে প্রকাশিত খবরটির ডেটলাইনে প্রকাশের সময় লেখা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ এবং বর্ণনায় লেখা আছে-
"নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশি মার্কিনী অধ্যাপক ড. রুহুল আবিদ এবং তার অলাভজনক সংস্থা হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ফর অল (হায়েফা)। ২০২০ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত ২১১ ব্যক্তির মধ্যে তিনি একজন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের আলপার্ট মেডিকেল স্কুলের অধ্যাপক ড. রুহুল আবিদ এবং তার অলাভজনক সংস্থা হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ফর অল (হায়েফা) নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।"
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, খবরটির অনলাইন প্রকাশের ডেটলাইন প্রায় এক বছর পুরানো হলেও ফেসবুকে প্রকাশের দিনক্ষণ দেখে একাধিক ফেসবুক ব্যবহারকারি খবরটিকে সাম্প্রতিক মনে করে মন্তব্য ও শেয়ার করেছেন।
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, খবরটি ২০২০ সালের।
কি-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করার পর খবরটি ২০২০ সালে দেশের মূলধারার একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হতে দেখা গেছে। তন্মধ্যে অনলাইন গণমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউন-এর ওই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর "নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত বাংলাদেশি-আমেরিকান ড. রুহুল আবিদ" শিরোনামে প্রকাশিত খবরটিতে বলা হয়-
"যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশি-আমেরিকান অধ্যাপক ড. রুহুল আবিদ ও তার অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ফর অল (এইচএইএফএ) শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে। ড. রুহুল ও তার প্রতিষ্ঠানকে মনোনয়ন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনভিত্তিক ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস ।"
বাংলা ট্রিবিউনের খবরটির সূত্র হিসাবে, ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা ঢাকা ট্রিবিউনের পক্ষ থেকে বোস্টনের ইউনিভার্সিটির অব ম্যাসাচুসেটসের কলেজ অব লিবারেল আর্টসের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জ্যেন-ফিলিপ বেলিউ এর সঙ্গে ইমেইলে যোগাযোগ করে ড. রুহুল আবিদ ও তার প্রতিষ্ঠানের মনোনয়নের নিশ্চিত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
পাশাপাশি, খবরটি সে সময় দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, দ্য ডেইলি স্টার সহ দেশের মূলধারার প্রায় সকল গনমাধ্যমেই প্রকাশিত হয়েছিলো।
অর্থাৎ, ২০২০ সালের পুরানো এই খবরটিকেই নতুন করে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, এটি যে পুরানো খবর তারও উল্লেখ করা হয়নি ফেসবুক পোস্টে।
সুতরাং এক বছর পুরানো একটি খবরকে ফেসবুকে নতুন অপ্রাসঙ্গিকভাবে প্রচার করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।