সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন পেজ এবং গ্রুপে একটি ছবি পোস্ট করে বলা হচ্ছে, থাইল্যান্ডে ফিঙ্গারপ্রিন্টের আদলে তৈরি একটি বিল্ডিং এর ছবি এটি। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২৭ ডিসেম্বর 'Rojem Science Fact' নামের ফেসবুক পেজ থেকে "Fingerprint building in Thailand" ক্যাপশনে একটি পোস্ট করা হয়। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। আলোচ্য ছবিটি কোনো বাস্তব বিল্ডিং এর নয় বরং এটি একটি ডিজিটাল আর্টওয়ার্ক যা একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। এই আর্টওয়ার্কটির থ্রিডি মডেলিং সংস্করণও অনলাইনে পাওয়া যায়।
রিভার্স ইমেজ সার্চ এর মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞাপনের বিবরণী বিষয়ক সাইট 'এডস অব দ্য ওয়ার্ল্ড'-এ আলোচ্য ছবিসহ সমজাতীয় আরো দুটি ছবি যুক্ত করে একটি বিজ্ঞাপনী বিবরণী খুঁজে পাওয়া যায়। বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, "SpicyH নামক বিজ্ঞাপনী সস্থা It Works এর জন্য অফিস, বাসা এবং ল্যাবেরটরির ক্ষেত্রে তিনটি আলাদা আর্টওয়ার্ক ডিজাইন তৈরি করেছে (অনূদিত ও সংক্ষেপিত)"। আরো উল্লেখ করা হয়, আর্টওয়ার্কটির আর্ট ডিরেক্টর হলো Apiwat Pattalarungkhan ও Adam Pamungkas । বিবরণীর স্ক্রিনশট দেখুন--
প্রাপ্ত তথ্য থেকে কি-ওয়ার্ড সার্চ এর মাধ্যমে ক্রিয়েটিভ আর্ট, ডিজাইন বা আর্টওয়ার্ক রিলেটেড বিভিন্ন কাজ প্রকাশের কমিউনিটি নেটওয়ার্ক 'Behance'-এ আর্টওয়ার্কটির আর্ট ডিরেক্টর Apiwat P. (Apiwat Pattalarungkhan) নামের একাউন্ট থেকে আলোচ্য ছবিসহ তিনটি সমজাতীয় ছবি যুক্ত পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টে উল্লেখ করা হয়, "Hakuhodo Asia Pacific ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিল্ডিং এর ক্যাম্পেইনের জন্য আর্টওয়ার্কটি তৈরি করেছে যার আর্ট Apiwat Pattalarungkhan ও Adam Pamungkas"। উল্লেখ্য, SpicyH এর পূর্ণরূপ Spicy Hakuhodo Co Ltd। পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ ছবিটি একটি ক্যাম্পেইনের জন্য বিজ্ঞাপণী সংস্থা দ্বারা তৈরি করা আর্টওয়ার্ক।
সুতরাং আর্টওয়ার্কের ছবি বাস্তব বিল্ডিংয়ের ছবি হিসেবে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।