সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে এক রিকশাচালককে পেটাচ্ছেন দাঁড়ি-টুপিওয়ালা এক ব্যক্তি। কিছু ফেসবুক পেইজে মারধরকারী ব্যক্তিটিকে হেফাজতে ইসলামের নেতা জাকারিয়া মাদানী বলে প্রচার করা হচ্ছে। দেখুন এমন কিছু পোস্টের লিংক এখানে, এখানে এখানে এবং এখানে।
গতকাল (৪ মে) 'Dhaka Telivision' নামে একটি ফেসবুক পেইজ থেকে ভিডিও পোস্ট করে দাবি করা হয় রিকশাচালককে নির্যাতনকারী ব্যক্তিটি হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক মাওলানা জাকারিয়া মাদানী। দেখুন পোস্টটির স্ক্রিনশট--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ভিডিও এর ক্যাপশনে করা দাবিটি বিভ্রান্তিকর।
একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবরমতে, রিকশাচালককে মারধরের ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার বংশালে। দ্য ডেইলি স্টারে গত ৪ মে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, উক্ত ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয় যার নাম সুলতান আহমেদ। তিনি বংশালের স্থানীয় বলে দাবি করেছে সংবাদমাধ্যমটি। দেখুন খবরের একটি স্ক্রিনশট--
এ সংক্রান্ত বাংলা ট্রিবিউনের একটি খবরেও নির্যাতনকারীর নাম বলা হয়েছে সুলতান আহমেদ। তিনি বংশালে একটি বাড়ির মালিক বলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়। দেখুন বাংলা ট্রিবিউনের খবরটি--
একইভাবে যুগান্তর এবং ঢাকা পোস্টের নিজস্ব প্রতিবেদনেও গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিটির নাম বলা হয়েছে, সুলতান আহমেদ।
উল্লেখ্য, পোস্টে দাবি করা মাওলানা জাকারিয়া মাদানী হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক নন। সর্বশেষ ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বরে ঘোষণা করা হেফাজতের পূর্নাংগ কমিটিতে উক্ত দায়িত্ব পেয়েছেন মুফতি মুহাম্মদ আলী। মূলত সহকারী ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক হিসেবে সেখানে নাম আছে মাওলানা জাকারিয়া মাদানী এবং মাওলানা গাজী ইয়াকুব এর। দেখুন স্ক্রিনশট--
অর্থাৎ রিকশাচালককে নির্যাতন করা সুলতান আহমেদকে হেফাজতের নেতা মাওলানা জাকারিয়া মাদানি বলে দাবি করা ভুল।