সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি, পেজ ও গ্রুপে একটি ভিডিও শেয়ার করে বলা হচ্ছে, নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় আটক হয়েছেন উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক হারুন অর রশীদ। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গতকাল ২১ জানুয়ারি 'Raday Khan' নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলা হয়, "নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা খেল থানার এসপি | এসপি হারুনের বিরুদ্ধে নরী কেলেঙ্কারির অভিযোগ |Bnp"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, পোস্টের বর্ণনায় করা দাবিটি সঠিক নয়। নীলফামারীর ডোমারে মহাবীর নামের এক র্যাব সদস্য ও সুমনা আক্তার নামের এক গৃহবধূর পরকীয়ার ঘটনার খবরের ভিডিওকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের দাবি করে প্রচার করা হচ্ছে।
ফেসবুক পোস্টের ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ভিডিওটির ১ মিনিট ১৮ সেকেন্ড থেকে রিপোর্টার বলছেন, "নীলফামারীর ডোমারে মুসলিম পরিবারের রাজিব হোসেনের স্ত্রী দুই সন্তানের মা সুমনা বেগম এক হিন্দু পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মহাবীরের সাথে প্রায় দুই বছর ধরে পরকীয়া করে আসছিল..."। এর সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে দৈনিক পত্রিকা মানবজমিনের ওয়েবসাইটে গিয়ে 'ডোমারে প্রেমিকার সঙ্গে আটক র্যাবের এস আই' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই পোস্টে থাকা ছবির সাথে আলোচ্য পোস্টের ভিডিওর দুই অভিযুক্তের একটি শটের সাথে মিল রয়েছে। মূল সংবাদ থেকে জানা যায়, নীলফামারী জেলার ডোমারের র্যাব সদস্য মহাবীর পরকীয়ার অভিযোগে আটক হন। স্ক্রিনশট দেখুন--
আলোচ্য ভিডিও থেকে নেয়া একটি স্ক্রিনশটের (বামে) সাথে খবরে যুক্ত ছবির (ডানে) পাশাপাশি তুলনা দেখুন--
এছাড়া আরো অনুসন্ধানে ইউটিউবে 'DOMARIAN' নামের একটি চ্যানেলে 'পুলিশ কর্মকর্তা (এস আই) ও দুই বাচ্চার মা আপ**ত্তিকর (পর**কীয়া) অবস্থায় আটক | DOMARIAN | ডোমারিয়ান' শিরোনামে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। আলোচ্য পোস্টের ভিডিও এবং উক্ত ভিডিওটি হুবহু এক। ওই ভিডিওতেও আলোচ্য ঘটনাটি নীলফামারীর এবং ঘটনার অভিযুক্ত ব্যক্তি মহাবীর নামে একজন র্যাব সদস্য বলে জানানো হয়েছে। ইউটিউব ভিডিওটি দেখুন--
অর্থাৎ ভিডিওতে দৃশমান ঘটনার জড়িত ব্যক্তি র্যাব সদস্য মহাবীর, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ নন।
সুতরাং ভিন্ন এক পরকীয়ার ঘটনায় র্যাব সদস্য আটকের ঘটনার ভিডিওকে এসপি হারুনের (বর্তমানে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার প্রধান) দাবি করে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।