সামাজিক মাধ্যমে ''ফরিদপুরে মা-মেয়ের এক স্বামী!'' শিরোনামে একটি খবর ভাইরাল হয়েছে। ১০ জুলাই ekhanesob.com নামে একটি পোর্টালে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত খবরে বলা হয়েছে, মেয়েকে বিয়ে করার চার মাসের মাথায় শাশুড়িকে বিয়ে করেছেন নূর ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।
একই তারিখে স্বাধীননিউজ২৪.কম নামের আরেকটি পোর্টালে এ সংক্রান্ত খবরে লেখা হয়েছে--
''মা ও মেয়েকে বিয়ে করেছেন ফরিদপুর সদর উপজে'লার মাচ্চর ইউনিয়নের চণ্ডিপুর গ্রামের নূর ইসলাম। মেয়েকে বিয়ে করার চার মাস পর শাশুড়িকে বিয়ে করেন তিনি। এ বি'ষয়টি এখন জে'লাজুড়ে বেশ আলোচিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। নূর ইসলাম চণ্ডিপুর গ্রামের মোহাম্মদ দফাদারের ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। তার শ্ব'শুর মালদ্বীপ প্রবাসী। এলাকাবাসী জানায়, সাড়ে তিন বছর আগে চণ্ডিপুর গ্রামের জলিল মো'ল্যা মাল'দ্বীপ যান। এরপর তিনি সব টাকা তার স্ত্রীর কাছে পাঠাতেন। এক বছর আগে চণ্ডিপুর বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন গ্রামের জলিল মোল্যার বাড়িতে নূর ইসলাম রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যান। কাজের ফাঁকে ওই বাড়ির মেয়ে জেনির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তারা বিয়ে করেন।
বিয়ের পরপরই শাশুড়ি ঝর্না বেগমের সঙ্গে নূর ইসলাম প'রকীয়া'য় জড়িয়ে পড়েন।এরপর শাশুড়ির সম্মতিতেই পা'লিয়ে গিয়ে আ'দালতের মাধ্যমে তাকেও বিয়ে করেন তিনি। ঘটনাটি জানাজানি হলে মা-মেয়ের মধ্যে দ্ব'ন্দ্ব শুরু হয়।স্থানীয়রা আরো জানান, বিদেশে থেকে পাঠানো শ্বশুরের টাকা ও বাড়ির স'ম্পত্তির লোভে নূর ইসলাম তার শাশুড়িকে বিয়ে করেছেন।''
ফ্যাক্টচেক:
বুম বাংলাদেশের অনুসন্ধানে দেখা যায়, খবরটি ২০১৮ সালের মে মাসের। সেসময় খবরটি সময় টিভি অনলাইনে প্রকাশিত হয়। বর্তমানে ভাইরাল হওয়া খবরটির সাথে সময় টিভির খবরটির হুবহু মিল। দেখুন
এখানে।
দুই বছর পুরোনো খবর নতুন করে নিউজ পোর্টালে প্রকাশ করা বিভ্রান্তিকর। পাঠকের কাছে খবরটিকে সদ্য সংঘটিত ঘটনার খবর হিসেবে মনে হলেও এটি যে পুরোনো ঘটনা তার কোনো উল্লেখ প্রতিবেদনে নেই।
গত দুই বছরে বিভিন্ন সময়ে এই খবরটি বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়ে আসছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এবং ২০১৯ সালের বিভিন্ন সময়েও এটি একাধিক পোর্টালে প্রকাশিত হয়েছিল।