সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজ ও আইডি থেকে একটি ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, আমেরিকার একটি মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে বাঁধা দিয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভুত এক হিন্দু নারী। ভিডিওটিতে এক মসজিদের মিম্বরে দাঁড়িয়ে থেকে এক নারীকে ক্ষিপ্ত হয়ে কিছু বলতে দেখা যায় এবং পরে পুলিশ ওই নারীকে সরিয়ে নেয়। এরকম কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ২৩ এপ্রিল "Kazi Jabed" নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ফুটেজটি পোস্ট করে লেখা হয়, "আমেরিকার একটি মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে বাঁধা দেয় এক ইন্ডিয়ান হিন্দু নারী। পরে তাকে কুকুরের মত টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় স্থানীয় পুলিশ।" স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ক্যাপশনে করা দাবিটি সঠিক নয়। ভিডিওতে দৃশ্যমান নারী হিন্দু সম্প্রদায়ের নয় বরং মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী মুসলিম সম্প্রদায়ের বলে জানিয়েছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
কি-ওয়ার্ড ধরে সার্চ করার পর, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় ঘটনাটি যে মসজিদে ঘটেছে তার কর্তৃপক্ষ All Dulles Area Muslim Society (ADAMS)-এর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই ঘটনা নিয়ে একটি বিবৃতি খুঁজে পাওয়া যায়। মসজিদ কর্তৃপক্ষ তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই নারী মুসলিম সম্প্রদায়ের এবং তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। কর্তৃপক্ষ ওই নারীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখছে এবং তারা এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে না ছড়ানোর অনুরোধ করেছেন বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।
একই বিবৃতি মসজিদ কর্তৃপক্ষ তাদের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলেও প্রকাশ করেছে। All Dulles Area Muslim Society (ADAMS) হলো যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বৃহৎ কমিউনিটি মসজিদ কেন্দ্র।
অর্থাৎ ভিডিওতে দৃশ্যমান নারী ভারতীয় হিন্দু নন বরং মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী মুসলিম সম্প্রদায়ের।
সুতরাং, যুক্তরাষ্ট্রে এক মসজিদে ঈদের নামাজে বাঁধা সৃষ্টিকারী মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীর ভিডিও বিভ্রান্তিকর দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে।