সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন আইডি ও পেজ থেকে মসজিদ ভাঙার একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, ভারতে একটি মসজিদ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এজন্য গ্রামবাসীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২৪ ডিসেম্বর ‘Masud Rahman’ নামক আইডি থেকে ভিডিওটি পোস্ট করে উল্লেখ করা হয়, “😭😭ভারতে মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার দৃশ্য। গ্রামবাসীর মাঝে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।😭😭 হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদের সাহায্য করুন, আমীন।” নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ভারতের মসজিদ ভাঙার এই ঘটনাটি ও ভিডিওটি সাম্প্রতিক নয় বরং এটি এক বছর আগের অর্থাৎ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের।
ভাইরাল ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, সেখানে Times Lakhipur ওয়াটারমার্ক দেওয়া আছে। পরে সংশ্লিষ্ট কি-ওয়ার্ড সার্চ করে “গ্রামে ৪০ বছরের পুরনো মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়” (অনূদিত) শিরোনামে ‘Times Lakhipur’ এর ইউটিউব চ্যানেলে অরিজিনাল ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটি ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বরে প্রকাশ করা হয়। যেখানে বলা হয়, এটি ভারতের আসামে আন্টিহারা মসজিদ ভাঙার দৃশ্য। ভিডিওটি দেখুন--
এই তথ্যের ভিত্তিতে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে “উচ্ছেদৰ পৰা ৰেহাই নাপালে মছজিদো : গোৱালপাৰাত তীব্ৰ প্ৰতিক্ৰিয়া - উচ্ছেদৰ পৰা ৰেহাই নাপালে মছজিদো” শিরোনামে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘ETV Bharat’ এর ওয়েবসাইটে ভাইরাল মসজিদ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়, যা ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, ভারতের আসাম রাজ্যের গোরালপাড়া জেলার লক্ষ্মীপুরের আংটিহারা জামে মসজিদ স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে ভেঙে ফেলা হয়। সেই সময় স্থানীয় মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ ভারতে মসজিদ ভেঙে ফেলার এই ভিডিওটি পুরোনো, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের।
সুতরাং, ২০২৩ সালের মসজিদ ভেঙে ফেলার ভিডিও বিস্তারিত তথ্য ছাড়াই সম্প্রতি ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।