ফেসবুকের কিছু পেইজ এবং প্রোফাইল থেকে এক তরুণীর লাশের কিছু ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে এটি বাংলাদেশের ময়মনসিংহের ঘটনা। পোস্টগুলোতে হত্যাকারীদের ক্রসফায়ার দাবি করা হচ্ছে।
ছবি বা ঘটনার কোন সূত্রও দেয়া হয়নি, বলা হচ্ছে তথ্য ও ছবি 'সংগৃহীত'।
ফ্যাক্ট চেক:
গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, ছবিগুলো এর আগে বিভিন্ন সময়ে একাধিক পাকিস্তানীর টুইটার হ্যান্ডেলে আপ্লোড করা হয়েছে।
জুলফিকার হালেপাতো নামের একজন পাকিস্তানীর প্রোফাইলে ছবিটি ২০১৬ সালের ৯ মে পোস্ট করা হয়। দেখুন এখানে।
এছাড়া তার কিছুদিন পরে ফারাহ কোরেশী নামক একজন পাকিস্তানি ২০১৬ সালের ১৩ মে ছবিগুলো আবার পোস্ট করেন। উভয়ের দাবিমতে, পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে ১০ বছরের একটি শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। একটি ছবিতে লাশ বহন করে নিয়ে যাওয়া কিছু লোকের পোশাক পাকিস্তানীরা সাধারণত যে ধরনের পোশাক (কাবুলি পাঞ্জাবি-পাজামা-টুপি) পরে থাকেন সেরকম।
তবে সম্প্রতি পাকিস্তানের ন্যাশনাল এসেম্বলির সদস্য খেয়াল দাস কোহিস্তানি নামের অফিশিয়াল দাবিকৃত টুইটার (আনভেরিফাইড) একাউন্ট থেকে ছবিগুলো নতুন করে পোস্ট করা হয়। দেখুন এখানে।
তবে পাকিস্তানসহ নানা মূলধারার পত্রিকাগুলোতে খুঁজে এই ছবি সম্বলিত কোন খবরাখবর পাওয়া যায়নি। যদিও এটা নিশ্চিত হয়ে বলা যায় যে, তরুণীর লাশের ছবিটি বাংলাদেশের ময়মনসিংহের নয়।