সামাজিক মাধ্যম থ্রেডসের একাধিক একাউন্ট থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আলিঙ্গনের একটি ভিডিও শেয়ার করা হচ্ছে। এরকম দুটি পোস্ট দেখুন এখানে ও এখানে।
গত ১৬ আগস্ট "mehirsaki" নামে একটি থ্রেডস একাউন্ট থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে লেখা হয়, "মানুষের ভালোবাসা দেখতে ও ভালো লাগে,পৃথিবীর সকল ভালোবাসা পূর্ণতা পাক🤍🐸"। ভিডিওটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আলিঙ্গন করতে দেখা যায়। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের ভিডিওটি এডিটেড। এবছরের ৭ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় বারের মত শপথ নেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি। মোদির শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেন শেখ হাসিনা। শপথ অনুষ্ঠানে মোদির সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে ধারণকৃত একটি ছবিকে এডিটের মাধ্যমে আলোচ্য ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।
ভিডিওটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে এবং কি-ওয়ার্ড সার্চ করে শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদির আলিঙ্গনের কোনো ভিডিও বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গত ৭ জুন দৈনিক পত্রিকা ইত্তেফাকের অনলাইন ভার্সনে "মোদির শপথ অনুষ্ঠানে হাসিনার উপস্থিতি: সোনালি সম্পর্কে নতুন মাত্রা" শিরোনামে একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ছবিটিতে আলোচ্য ছবির মত পোশাকে, একই ব্যাকগ্রাউন্ড শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। স্ক্রিনশট দেখুন--
এছাড়াও, বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম যমুনা টেলিভিশনের ভেরিফায়েড ইউটিউব চ্যানেলে গত ৮ জুন "মোদির শপথে যোগ দিতে আজ দিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী | PM India Visit | Jamuna TV" শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির ৩১ সেকেন্ডেও আলোচ্য ছবিটির মত দৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটি দেখুন--
এই ভিডিওতে দেখা যায়, শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি ফটোসেশনের জন্য এসে কয়েক সেকেন্ড দাঁড়িয়ে আবার চলে যান। সেখানে তাদেরকে আলিঙ্গন করতে দেখা যায়নি।
অর্থাৎ, আলোচ্য পোস্টে দেখানো ভিডিওটি বাস্তব নয় বরং শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির একটি ছবিকে প্রযুক্তির সহায়তায় এডিট করে আলোচ্য ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য ছবিকে পিক্সভারস ডট এআই নামে একটি টুলের সাহায্যে এডিটের মাধ্যমে আলিঙ্গনরত ভিডিও তৈরি করা যায়, যা সামাজিক মাধ্যম একটি ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে।
সুতরাং শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির আলিঙ্গনের যে ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে থ্রেডসে, তা বিভ্রান্তিকর।