সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজ থেকে উত্তাল সমুদ্রের ঢেউয়ে ডুবে যাওয়ার সময় উদ্ধারকারী দল এক ব্যক্তিকে উদ্ধারের একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা দেখতে গিয়ে সমুদ্রে পড়ে গিয়েছে ওই ব্যক্তি। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ১৪ মে 'Md Masud' নামের ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়, "ঘূর্ণিঝড় মোখা দেখতে গিয়ে উচিত শিক্ষা হলো"। স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্টচেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ক্যাপশনে করা দাবিটি সঠিক নয়। ভিডিওটি সম্প্রতি আঘাত হানা ঘুর্ণিঝড় মোখার নয় বরং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পুরোনো একটি ঘটনার।
ভিডিওটি থেকে কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স সার্চ করার পর, 'DIGHA LIVE (Subhash Mishra)' নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে 'জলোচ্ছ্বাসে দীঘায় গার্ডওয়াল থেকে ছিটকে উত্তাল সমুদ্রে ভেসে গেলেন পর্যটক' ক্যাপশন'সহ ফেসবুকে প্রচারিত আলোচ্য ভিডিওটির দীর্ঘ সংস্করণ খুঁজে পাওয়া যায়, যা ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট আপলোড করা হয়। দেখুন--
ইউটিউবে পাওয়া মূল ভিডিও (বামে) এবং ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিওর (ডানে) পাশাপাশি তুলনা দেখুন--
ইউটিউবে পাওয়া ভিডিওর একস্থানে কমলা রঙের জামা পরা কয়েকজনের উদ্ধার কর্মীর পিঠে ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল ডিফেন্স লেখা দেখতে পাওয়া যায়। সার্চ করার পর, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়-এ "Digha Sea Beach: কড়া নির্দেশিকা ভেঙে দিঘার সমুদ্রের পাড়ে পর্যটক, প্রশাসনের তৎপরতায় তলিয়ে যেতে গিয়েও রক্ষা" শিরোনামে একটি খবর খুঁজে পাওয়া যায়, যা ইউটিউব ভিডিওটি আপলোড হবার একই তারিখ অর্থাৎ ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট প্রকাশিত হয়। সমুদ্র থেকে উদ্ধারকৃত ঐ যুবকের নাম শুভ্রপ্রসাদ মণ্ডল বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
অর্থাৎ ভিডিওটি পুরোনো সাম্প্রতিক ঘুর্ণিঝড়ের নয়।
সুতরাং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পুরোনো একটি ভিডিওক সম্প্রতি আঘাত হানা ঘুর্ণিঝড় মোখার সাথে জুড়ে প্রচার করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে, যা বিভ্রান্তিকর।