সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজ ও আইডি থেকে শেয়ার করা ভিডিওটিতে এক ব্যাক্তিকে জোরপূর্বক একটি মিম্বরের দিকে আক্রমণাত্মকভাবে ছুটে যেতে দেখা যায়। দাবি করা হচ্ছে, এটাই মক্কায় হিন্দুদের ঢুকতে না দেওয়ার কারণ। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ২৮ মে 'BIG BOSS SM ' নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে এরকম একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "এজন্যেই হিন্দুদের মক্কায় ঢুকতে দেয়া হয় না | কারন জানলে আপনি অবাক হবেন।" স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ক্যাপশনে করা দাবিটি সঠিক নয়।
ভিডিওটি থেকে কি-ফ্রেম নিয়ে সার্চ করার পর, 'Islam Channel' নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে 'Man TRIES TO ATTACK Makkah Imam during Friday sermon' ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়, যা ২০২১ সালের ২২ মে আপলোড করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে প্রাপ্ত ওই ইউটিউব ভিডিওর বর্ণনা ও সাব-টাইটেল থেকে জানা যায়, মক্কায় মসজিুল হারামে শুক্রবারে জুমা'র খুতবা চলাকালে এক ব্যক্তি ইমামের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে নিবারণ করেন।
এই সূত্রধরে সার্চ করার পর, সংবাদমাধ্যম 'Al Arabiya' তে 'Armed man attempts to attack Imam at Mecca’s Grand Mosque' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়, যা ২০২১ সালের ২২ মে প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে আলোচ্য ভিডিওটিও যুক্ত করা আছে। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, শুক্রবারে খুতবা চলাকালে এক অস্ত্রধারী ব্যক্তি মসজিদুল হারামের মিম্বরে ইমামের উপর আক্রমণ করতে চেষ্টা চালায়, এবং এ সময় ওই ব্যক্তিকে নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে আটক করে।
একই ঘটনা সম্পর্কে ২০২১ সালের ২৩ মে গালফ নিউজে "Mecca Grand Mosque pulpit attacker claims to be awaited 'Mahdi' শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঐ সৌদি নাগরিক নিজেকে ইমাম মাহদী দাবি করেছিলেন। তবে কোনো প্রতিবেদনেই ঐ ব্যক্তি হিন্দু এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়না।
অর্থাৎ তথ্য প্রমাণ ছাড়াই হারাম শরীফে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করা এক ব্যক্তিকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী বলে দাবি করা হচ্ছে।
সুতরাং হিন্দু ব্যক্তি নামাজ চলাকালে কাবা শরিফে আক্রমণ করেছেন বলে ভিত্তিহীন দাবি করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে।