সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজ ও আইডি একটি ভিডিও পোস্ট করে থেকে দাবি করা হচ্ছে, এটি তীব্র গতিতে ঘূর্ণিঝড় মোখার টেকনাফ-সেন্টমার্টিন অতিক্রম করার দৃশ্য। এর একটি ফুটেজে প্রবল বেগে ঝড় ও বৃষ্টি হতে দেখা যায়। এই ফুটেজটি একাধিকবার দেখানো হয়েছে ভিডিওটিতে। এছাড়াও ঝড়ের আরও বেশ কিছু ফুটেজ যুক্ত করা হয়েছে ভিডিওটিতে। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ১৪ মে 'Rn Romjan Miya' নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে কয়েকটি ভিডিওটি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, "এইমাত্র ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ টেকনাফ-সেন্টমার্টিন তীব্র গতিতে অতিক্রম শুরু করেছে!"। স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, পুরোনো একাধিক ফুটেজ যুক্ত করে আলোচ্য ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।
ভিডিও থেকে কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে, 'Robiwul Awall' নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ১১ মে 'ঘুর্ণিঝড় মোখার আঘাতে লন্ডভন্ড গোপালগঞ্জ' ক্যাপশন সহ ভিডিওটি পোস্ট করতে দেখা যায়। তারও একদিন আগে ১০ মে 'dreamworldhh' নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওটি শর্টস সেকশনে ও একই নামের টিকটক একাউন্টে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছিল। মূলত এই ফুটেজটি একাধিকবার দেখানো হয়েছে আলোচ্য ভিডিওতে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাতে ঘূর্ণিঝড় মোখার মূল অংশটি গত ১৪ মে দুপুরের পর থেকে সেন্টমার্টিন ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আঘাত হানার কথা জানানো হয়। অবশ্য এর আগেই ১৩ মে সন্ধ্যা থেকে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে কোনো ভাবেই ১০ মে ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানেনি।
পাশাপাশি, আলোচ্য ভিডিওটির ২ মিনিট ২৬ সেকেন্ড, ৫ মিনিট ১৯ সেকেন্ড, ৬ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডে দেখতে পাওয়া ফুটেজের মত বেশ কিছু ফুটেজের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে যা সাম্প্রতি আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় মোখার নয় বরং আগে থেকেই এসব ফুটেজ অনলাইনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে বিদ্যমান রয়েছে।
অর্থাৎ পুরোনো একাধিক ভিডিও যুক্ত করে সাম্প্রতি আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় মোখার দাবি করে প্রচার করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে।